হাওড়া : বিজেপি, সংযুক্ত মোর্চার থেকে অনেক আগেই পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রার্থীদের প্রচার কর্মসূচিও বেশ খানিকটা সাড়া হয়ে গেছে। এরই মধ্যে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন গ্রামীণ হাওড়ার আমতা ও উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভার দুই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী।

এদিন সকালে মিছিল করে উলুবেড়িয়া মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেন উলুবেড়িয়া উত্তরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নির্মল মাজি। এদিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ। অন্যদিকে, বুধবারই উলুবেড়িয়া-১ বিডিও অফিসে মনোনয়ন পত্র জমা দেন আমতা বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুকান্ত পাল।

এদিকে জোড়াসাঁকোর তৃণমূল প্রার্থী বিবেক গুপ্তাকে সমন পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই সোমবার তাঁকে হাজিরা দিতেও বলা হয়েছে। কারণ? সারদাকাণ্ড। এই কাণ্ডে তাঁর সঙ্গে যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে ইডি। তাই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

ভোটের মুখে কয়লাকাণ্ড থেকে গরু পাচার একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছিল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার মূলে যে রয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে সেই বিকাশ মিশ্র গ্রেফতারও করা হয়েছে। তিনি আবার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। পাশাপাশি বিভিন্ন তৃণমূলের নেতা থেকে শুরু করে প্রার্থীকে ডাকছে আরম্ভ করেছে সিবিআই এবং ইডি।

বছরভর আইকোর, সারদা এসব বেশীরভাগ ঘটনা হিমঘরে থেকে পচলেও ভোটের মুখে তা যেন টাটকা হয়ে উঠেছে। তেমন ভাবেই সারদা কাণ্ডে সমন বিবেক গুপ্তাকে। বলা হচ্ছে এই কাণ্ডে তাঁর সঙ্গে সুদীপ্ত সেনের টাকার লেনদেন হয়েছে। তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গতকাল অর্থাৎ বুধবার হাওড়া গ্রামীণ পুলিস সুপারের পদ থেকে অপসারিত করা হয় সৌম্য রায়কে। তিনি সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী লাভলি মৈত্রের স্বামী। তাঁকে অনির্বাচনী পদে বদলি করেছে নির্বাচন কমিশন। তাঁকে বলে দেওয়া হয়েছে , নির্বাচনপ্রক্রিয়া চলার সময় তিনি যেন হেডকোয়ার্টার ছেড়ে কোথাও না যান। তাঁর পরিবর্ত হিসাবে কাজ করবেন শ্রীহরি পাণ্ডে।

এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই ডেকেছিল তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তার আগে ডেকে পাঠানো হয়েছিল তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষকেও।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।