গড়বেতা, কেশিয়াড়ি , খড়্গপুর : জঙ্গলমহলে এবার তৃণমূল ও বিজেপি-র কঠিন লড়াই। যে করেই হোক বিজেপিকে জঙ্গলমহলে পরাজিত করতে একা দেশের সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিপক্ষপ শুধু রাজ্য বিজেপি নয়, এক কথায় গোটা দেশের সরকারের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা লড়ছেন ২০২১-এর নির্বাচনী লড়াই। বৃহস্পতিবার গড়বেতা, কেশিয়াড়ি , খড়্গপুরে পর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনটি সভা করেন। এই সভা থেকে তিনি যে বার্তা দেন তার মূল কথা, “আমার পা ব্যথা। আমি তাও আপনাদের কাছে এসেছি কেন জানেন ? না হলে বিজেপি-র লোকেরা এসে আপনাদের সব শেষ করে দিয়ে যাবে। তাই আমার মনে হয়েছে এই নির্বাচনের মুখে এই দস্যুর পার্টি, জোতদারের পার্টি বিজেপি-র হাত থেকে আপনাদের বাঁচানোর জন্য আমার আপনাদের পাশে দাঁড়ানো দরকার । আমার লক্ষ্য, বিজেপিকে রাজ্য থেকে বিতাড়িত করা। তৃণমূল কখনও পিছন দিকে তাকে না, সামনের দিকে এগিয়ে চলে। বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়া হবে না।”
এদিন পুরুলিয়াতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সভা করে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কউন্টডাউন শুরু হয়েছে। আর দু’মাস আপনি আছেন। দিদি আপনি যাচ্ছেন। বাংলায় বিজেপি আসছে।”
তবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন প্রথমে গড়বেতা, তারপর কেশিয়াড়ি এবং শেষ সভা করেন খড়গপুরের সভা থেকে যে বার্তা দেন তাতে তিনি বুঝিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণে তিনি বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দৃঢ় প্রত্যের সঙ্গে এই তিনটি সভা থেকেই বলেন, বিজেপিকে পরাজিত করে তৃণমূল সরকারে আসলে রাজ্যের মানুষের জন্য কী সুবিধা দেবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি প্রচুর টাকা নিয়ে রাজ্যে এসেছে। ট্রেনে করে গুন্ডা নিয়ে আসছে। বাড়িতে যারা আছেন সবাই নিজের ভোটটা দিয়ে আসবেন। দিল্লি থেকে সব ঘুরতে আসছে রাজ্যে। এসে শুধু মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে। যখন করোনা চলছিল তখন কোথায় ছিলেন? আর টাকা দিয়ে ভোট নেওয়া যাবে না।”
খড়গপুর রেল শহর। এখানে সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রেল কর্মীরা বিজেপিকে ভোট দেবেন না। বিজেপি বিজেপি দুঃসহ অত্যাচার চালাচ্ছে। আমি অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করেছি। আমি ক্ষমতায় এলে সবাইকে ৫০০ টাকা করে দেব। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ক্রেডিট কার্ড দেব। বিনা পয়সায় স্বাস্থ্য, খাদ্য, চিকিৎসা, ১০ লাখ টাকার ছাত্র ক্রেডিট কার্ড, মাসে ৫০০ টাকা করে পাবেন। ৩৪ বছরে কিছু হয়েছে? বামপন্থী বন্ধুদের বলছি, দয়া সুশান্ত ঘোষকে , তপনকে একটিও ভোট দেবেন না। ওরা বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে ভোট নষ্ট করা। ওরা জগাই , মাধাই, গদাই । মনে রাখবেন ভোটার দিন ভোট লুঠ করতে এলে হাত, খুন্তি নিয়ে তারা করুন মা,বোনেরা । ইভিএম পাহারা দিন। কষ্ট হলেও বিজেপি-র হাতে বাংলা তুলে দেবেন না।”
এর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “খেলা হবে? মা,বোনেরা হাতা, খুন্তি দিয়ে খেলা হবে? মনে রাখবেন মা, বোনেরা খেললে আমি সরকারটা গড়তে পারবো। আর সরকারে এলেই বিনা পয়সায় রেশন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাড়ি, কন্যাশ্রী, ছাত্র, ছাত্রীরা ক্রেডিট কার্ড পাবেন । তাই আবার বলছি, খেলা হবে তো? খেলা হবে, লড়াই হবে, জেতা হবে। এই যুদ্ধে জিততে হবেই।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.