নয়াদিল্লি: আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক না করায় ৩ কোটি রেশন কার্ড বাতিল করেছে কেন্দ্র। এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুতর বলে অভিহিত করে সমস্ত রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকারের কাছে নিজেদের বক্তব্য জানতে চাইলো সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে এবং বিচারপতি এ এস বোপান্না ও বিচারপতি ভি রামসুব্রাহ্মণিয়ামের একটি বেঞ্চ এই বিষয়টিকে “অত্যন্ত গুরুতর বিষয়” বলে বিবেচনা করেছেন এবং বলেছেন এটিকে হালকা হিসাবে নেওয়া ঠিক হবে না।

২০১৮ সালের একটি জনস্বার্থ মামলায় আবেদনকারী কইলি দেবীর আইনজীবী কোলিন গনসালভেস বলেন, “‌যেহেতু গোটা বিষয়টি সঙ্গে আধার কার্ড জড়িয়ে গিয়েছে, তাই সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের অবস্থান জানাটা জরুরি। চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিক সরকার।” যদিও অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল আমান লেখি বলেছেন, আইনজীবী গনসালভেসের দেওয়া তথ্য সম্পূর্ণ ভুল। কেন্দ্রীয় সরকার রেশন কার্ড বাতিল করেনি। জবাবে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে বেঞ্চ বলেছে, “আধার ইস্যুতে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে জবাব দিতে বলছি। এটি কোনও বিরোধী মামলা নয়। আমরা শেষ পর্যন্ত এটি শুনব।”

২০১৯ সালের ৯ই ডিসেম্বর, শীর্ষ আদালত বৈধ আধার কার্ড না থাকার কারণে, রেশন সরবরাহ থেকে বঞ্চিত ব্যক্তিদের অনাহারে মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে সমস্ত রাজ্য থেকে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল।এবং ২০১৩ র খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, গ্রাহকদের যে অভিযোগ এবং নিরসন ব্যবস্থা আছে সেগুলি বাস্তবায়নের জন্য সরকার থেকে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়ে। কেন্দ্র তখন জানিয়েছিল যে অনাহারজনিত কারণে কারোর মৃত্যু হয়নি।বৈধ আধার কার্ড না থাকায় কাউকে খাদ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা করা হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরে ঝাড়খণ্ডের সিমদেগা জেলায় এক ১১ বছরের নাবালিকার মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, খেতে না পেয়ে মারা গেছে মেয়েটি। আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ড সংযুক্ত না থাকায় ২০১৭ সাল থেকে রেশন সামগ্রী পেত না ওই দলিত পরিবার। আধারের সঙ্গে লিঙ্ক থাকা বৈধ আধার কার্ড না থাকার কারণে রেশন সামগ্রী না পেয়ে বহু মানুষ অনাহারে মারা গেছেন, এই অভিযোগে শীর্ষ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল।

গতকাল এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা সমস্যাটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। আমি বম্বে হাইকোর্টে এই ধরনের বিষয়টি নিয়েছি এবং আমি মনে করি যে এই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট হাইকোর্টে দায়ের করা উচিত।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।