নন্দীগ্রাম : দাদা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে। বাবা শিশির অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দেওয়া সময়ের অপেক্ষা হয়ত। জল্পনা বাড়ছে এই নিয়ে। এবার কী তাঁর পালা? এই প্রশ্নের উত্তরে অকপট তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ রয়েছে তাঁর কাছে। অনেকেই চাইছেন তিনি বিজেপিতে যোগ দিন। তবে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেননি তিনি।
তবে ক্ষোভ রয়েছে দলের বিরুদ্ধে। সংবাদসংস্থা এএনআইকে দিব্যেন্দু জানালেন গত চার পাঁচ মাস ধরে দলের কোনও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি। তাই তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কোথায় দাঁড়িয়ে এখনই বলতে পারছেন না। যদিও খাতায় কলমে এখনও তৃণমূলেই রয়েছেন তিনি। কারণ চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা এখনই ভাবেননি দিব্যেন্দু।
ক্ষোভ প্রকাশ করে দিব্যেন্দু জানান, দলের জেলা সভাপতি অবশ্য বারবার বলছেন তাঁকে নাকি একাধিকবার দলের নানা অনুষ্ঠানে ডাকা হয়েছিল, কিন্তু দিব্যেন্দুই যাননি। তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে অধিকারী পরিবারের ছোট ছেলে বলছেন কোনও আমন্ত্রণ আসেনি তাঁর কাছে। সরাসরি মিথ্যে কথা বলা হচ্ছে দলের তরফে।
দিব্যেন্দু জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসন থেকে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি আবেগের বশে নিয়েছেন তিনি বলে মত দিব্যেন্দুর। মানুষ সঠিক প্রার্থীকেই বেছে নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর দাদা শুভেন্দুর ওপর নন্দীগ্রামের মানুষের ভরসা রয়েছে। তাই সেই ভরসা এবারও বজায় থাকবে বলে ধারণা দিব্যেন্দুর।
এদিন তৃণমূল সাংসদ জানান, নন্দীগ্রাম শান্তিপ্রিয় জায়গা। এখানে ধর্মের তাস খেলে কোনও লাভ নেই। মানুষ সত্যি মিথ্যে বুঝতে পারে। শেষ কথা বলবে নির্বাচন কমিশন। নন্দীগ্রামে অধিকারী পরিবারের কী গুরুত্ব তা এখানকার মানুষ জানেন। তাই এবারেও তাঁরা অধিকারী পরিবারের পাশেই থাকবেন বলে মত দিব্যেন্দুর।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারীর লড়াইয়ে সরগরম এই কেন্দ্র। নজরকাড়াও এই কেন্দ্রে নেমে এসেছে রাজনৈতিক হিংসা। মনে করা হচ্ছে, এতে আরও তপ্ত হয়ে উঠেছে নন্দীগ্রাম৷ উল্লেখ্য,শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় নন্দীগ্রামের মানুষজন। শুভেন্দুকে বিশ্বাসঘাতক বলে স্লোগানও দেওয়া হয়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.