স্টাফ রিপোর্টার, মেদিনীপুর: ‘আসল পরিবর্তন চাই’-স্লোগানে ভর করে রাজ্যের ক্ষমতা থেকে তৃণমূলকে হঠাতে চাইছে বিজেপি৷ এই ইস্যুতে গেরুয়া শিবিরকে বিঁধলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কটাক্ষ করে বললেন,‘২০১১ সালে পরিবর্তন তো তৃণমূলের স্লোগান। শুধুই টুকলি করে বিজেপি, নতুন কিছু ভাবুন’।

২০১১-য় বিধানসভা ভোটে ‘পরিবর্তন চাই’-এর স্লোগান তুলেছিল তৃণমূল। তাতে কাজও হয়েছিল৷ ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারকে উপড়ে ফেলেছিল তারা৷ এক দশক পর রাজ্যে ফের ‘পরিবর্তন’-এর দাবি উঠেছে। সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে আসল পরিবর্তন চাই-এর ডাক দিয়েছেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা৷ সম্প্রতি ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, আমি বাংলার মানুষকে আসল পরিবর্তনের আশ্বাস দিতে চাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তৃণমূলের পরিবর্তন-এর স্লোগানকেই এখন তাদের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করছে বিজেপি৷

মমতার অভিযোগের কড়া জবাব দিয়েছে রাজ্য বিজেপি৷ দলের মুখপাত্র রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা ২৪x৭-কে বললেন, ‘আমাদের টুকলি করা স্বভাব নয়৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএমকে টুকলি করে বাংলাকে ডুবিয়েছেন৷ যত রকম কু-কর্ম তিনি সিপিএের থেকে শিখেছেন৷ দলের পরিবর্তন তো হয়নি৷ শুধু মুখের পরিবর্তন হয়েছে৷ ঝাণ্ডার পরিবর্তন হয়েছে৷ আমরা আসল পরিবর্তন করব৷ বাংলার মানুষ সোনার বাংলা, উন্নয়নের বাংলা চাইছে৷ তারা ন্যায়ের শাসন চাইছে৷’

একুশের নির্বাচনে শাসক-বিরোধীর মধ্যে স্লোগান-যুদ্ধ অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে৷ যেমন, খেলা হবে-র মতো সুপারডুপার হিট স্লোগান শাসক-বিরোধী, দুপক্ষের মুখেই শোনা যাচ্ছে৷ এক্ষেত্রেও তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের এই স্লোগান অন্যরা টুকলি করেছে৷ এদিকে আবার, কদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘স্লোগান চুরি’র অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ হুগলির পুরশুড়ার সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গিয়েছিল, ‘হরে কৃষ্ণ হরে হরে, তৃণমূল ঘরে ঘরে’। বিজেপিতে যোগদানের পর প্রায় প্রতি সভাতেই শুভেন্দুর মুখে শোনা যায়, ‘কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে বিজেপি ঘরে ঘরে’ স্লোগান। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি তৃণমূলে থাকাকালিনও এই স্লোগান ব্যবহার করেছেন শুভেন্দু। তখন শুধু ‘বিজেপির ঘরে ঘরে’র পরিবর্তে ছিল ‘তৃণমূল ঘরে ঘরে’।এমনকি তৃণমূলের ওয়েবসাইটে ২০১৪ সালের একটি প্রতিবেদনেও এই স্লোগানটির বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।