স্টাফ রিপোর্টার , কলকাতা : বুধবার দুপুর থেকে বেলা বাড়লে রীতিমত আগুনের হলকা লাগছে গায়ে। শহরের আবহাওয়ার পরিস্থিতি এখনও এতটাই গরম। সকালের দিকে তেমন গরম অনুভূত হচ্ছে না। মাঝ রাত থেকে ভোরের দিকে যত এগোচ্ছে আবহাওয়া তখন আরামদায়ক থাকছে। তারপর বেলা বাড়তেই শুরু হচ্ছে ব্যাপক অস্বস্তিজনক আবহাওয়া। আগামী কয়েকদিন এমনই আবহাওয়া জারি থাকবে বলে পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।

যেমন মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার তা ছিল ২৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ বুধবার তা ফের ২৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে। অর্থাৎ সকালের তাপমাত্রা খুব একটা বাড়ছে না, যদিও আজ সকালে শহরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। লক্ষণীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পরিমান, যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এখন কলকাতায় না নিয়মিত ভাবে ৩৬ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। কিন্তু শহরে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পূর্বাভাসের হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

আর্দ্রতার পরিমাণও যথেষ্ট বেশি সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ, সর্বনিম্ন ২৪ শতাংশ। এই পার্থক্যের জন্য ভোরের দিকে অন্যরকম থাকছে শহরের আবহাওয়া। বেলা বাড়লেই তা ব্যাপক ঘাম ঝরাচ্ছে। বুধবার দুপুরে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা দার্জিলিং ও কালিম্পং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝেড়ো হাওয়া দিতে পারে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী ৫ দিনে দিনের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। দক্ষিনবঙ্গেও মূলত শুকনো আবহাওয়া থাকবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গের মতো বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তবে বেশি গরম হলে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হবে স্থানিয়ভাবে। তবে তা তেমন আরামদায়ক হবে না বলেই মত আবহাওয়াবিদদের।

বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি এবং তুষারপাত হতে পারে লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর, মুজফফারবাদ, উত্তরাখণ্ডে ও হিমাচলপ্রদেশে। এছাড়াও বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে মধ্যপ্রদেশ, বিদর্ভ, ছত্তিশগড়ে। এর কারণ পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এবং সেটি ঘূর্ণাবর্তের রূপ নিয়েছে। এর জেরে জম্মু ও কাশ্মীরে সম্নলগ্ন রাজ্যে বৃষ্টি হতে পারে। এই ঘূর্ণাবর্ত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩.১ এবং ৩.৬ কিমি উপরে পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। তবে সৌরাষ্ট্র এবং কচ্ছ-এ তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।