কলকাতা: সমগ্র দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজ্যে প্রতিদিন বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনা থাবা বসিয়েছে ৩২৩ জনের শরীরে। গত কয়েকদিন ধরে আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে বেড়েছে। বৃহস্পতিবার ২৪৪, শুক্রবার ২৭৭, শনিবার ২৭৬, রবিবার ২৮৩, সোমবার ২৫১, মঙ্গলবার ২৫৫।বুধবার ৩০৩। এদিন স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।সুস্থতার হার ৯৭.৬৬ শতাংশ।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের থেকে পাওয়া শেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৩২৩ জন। যা আগের দিনের থেকে ২০ বেশি। ফলে এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট করোনা সংক্রমিত হয়েছে ৫ লক্ষ ৭৯ হাজার ৪৭৯ জন। গত একদিনে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২৬৮ জন। অর্থাৎ একদিনে সুস্থতার তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।এখনো পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছে ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৯৩৮ জন। মোট এক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩ হাজার ২৪১ জন। ২৪ ঘন্টায় করোনার বলি হয়েছে ২ জন। মৃত দুজন কলকাতার বাসিন্দা বলেই খবর। এখনো পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ৩০০।

স্বাস্থ্য দফতরের চিন্তা বাড়িয়ে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছে কলকাতায়। সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৯৯ জন। কলকাতার পরেই আছে উত্তর ২৪ পরগনা। এখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫।তারপরেই আছে হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ,পশ্চিম বর্ধমান। সেখানে যথাক্রমে ২৭, ২৫ এবং ২৪ জন আক্রান্ত হয়েছে।পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা টেস্ট হয়েছে ১৯ হাজার ৫০৯ জনের। এখনো পর্যন্ত মোট টেস্টের সংখ্যা ৮৮ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭৮৬।

নির্বাচনী নির্ঘন্ট প্রকাশের পর রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে মিটিং মিছিল। শুরু হয়েছে জনসমাবেশ। এহেনপরিস্থিতিতে করোনার মত মারণ ভাইরাসকে রুখতে রীতিমতন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরকে।

অপরদিকে দেশের মধ্যে ৮ টি রাজ্যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক সহ একাধিক রাজ্যে বাড়ছে সংক্রমণ। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রের সংক্রমণ ক্রমেই মাত্রা ছাড়াচ্ছে। গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রে কেন্দ্রের তরফে একটা টিম পাঠানো হয়েছিল। তাঁদের রিপোর্টে বলা হয়, মহারাষ্ট্র করোনার সেকেন্ড ওয়েভের সূচনায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।