মুম্বই: দেশে ক্রমশই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তাহলে কি এবার ভারতে সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হয়ে গেল? কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে মঙ্গলবার একটি চিঠি দিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্য সচিবকে এই সম্পর্কে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রের টিম যে মূল্যায়ণ করেছে তা বলা হয়েছে চিঠিতে।

গত সপ্তাহে কেন্দ্রের তরফে একটি টিম পাঠানো হয়েছিল মহারাষ্ট্রে। করোনা মামলা যেভাবে দ্রুতহারে এই রাজ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা দেখতেই কেন্দ্রীয় দলটি এসেছিল। তারপর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ মহারাষ্ট্রের মুখ্য সচিবকে একটি চিঠি লেখেন। কেন্দ্রীয় দলের পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করেই চিঠিটি লেখা হয়। চিঠিতে কিছু সুপারিশও করা হয় রাজ্যকে। কেন্দ্রের সেই চিঠিতে স্পষ্ট লেখা ছিল মহারাষ্ট্র করোনার সেকেন্ড ওয়েভের সূচনায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। এও জানানো হয়, করোনা ট্র্যাক, পরীক্ষা, আইসোলেট ও কোয়ারেন্টাইনের ক্ষেত্রে প্রচেষ্টা খুব সীমাবদ্ধ। সাধারণ মানুষ অনেক সময়ই কোভিডের নিয়ম মানছে না। গ্রাম ও শহর, দুক্ষেত্রেও একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে।

৭ মার্চ থেকে ১১ মার্চ কেন্দ্রীয় দল মহারাষ্ট্রে এসেছিল। তারপরই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় দলের অনুমান COVID সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করতে বা দমন করতে ২০২০ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, এখনও যেন সেই একই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। যে এলাকাগুলিকে কেন্দ্রীয় দল গিয়েছিল সেখানে করোনার পজেটিভ রিপোর্ট আসার সম্ভাবনা খুব বেশি। মুম্বইয়ে ৫১ শতাংশ ও ঔরঙ্গবাদে ৩০ শতাংশ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অনুমান। অনেক ক্ষেত্রেই সঠিকভাবে পরীক্ষা হচ্ছে না। ফলে সংক্রমণ দ্রুত ছড়ানোর প্রবণতা তৈরি হচ্ছে।

করোনার লাগামছাড়া সংক্রমণ হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। রাজ্যে একদিনে ১৭ হাজার ৮৬৪ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে মহারাষ্ট্রের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে ঘোরতর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন এই সংক্রমণ ধরে এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ২৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৩২৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে শুধু বাণিজ্যনগরী মম্বইয়েই ১ হাজার ৯২২ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

রাজ্যের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কীভাবে লাগাম টানা যায়, তা ভেবে ঘুম ছুটেছে উদ্ধব ঠাকরের প্রশাসনের। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় সম্পূর্ণ কোথাও বা আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছে। তবে তা করেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোখা যাচ্ছে না। অচিরেই মহারাষ্ট্রে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি নিয়েও নতুন করে চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।