শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত : ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট নয়, আব্বাস সিদ্দিকীর প্রার্থীরা রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন রাষ্ট্রীয় সেক্যুলার মজলিসের প্রার্থী হয়ে । কারণ আব্বাসের দল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট এখনও রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি পায়নি বলে জানা গেছে। তার ফলেই ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা দলের কোনও নাম এবং চিহ্ন ইভিএম-এ থাকছে না।
সূত্রের খবর , আব্বাসের দল এখনও রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি পায়নি। কোনও চিহ্নও পায়নি ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট। নির্বাচনের ১০দিন আগে এই ঘটনা সংযুক্ত মোর্চাকে যথেষ্ট সংকটে ফেলবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। জানা গেছে বিহারের রাষ্ট্রীয় সেক্যুলার মজলিশ নামের একটি দলের হয়ে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের প্রার্থীরা লড়বেন বলে জানা যাচ্ছে।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর সবকটি রাজনৈতিক দলের কাছে। আব্বাস সিদ্দিকী নিজেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্রিগেড-এর ২৮ ফেব্রুয়ারির সভা থেকে তৃণমূলকে শূন্য করে দেওয়ার হুঙ্কার দিয়েছেন। তাই এখন প্রথম দফার নির্বাচনের ১০দিন আগে আইএসএফ-এর রেজিস্ট্রেশন না পাওয়ার খবরে সত্যিই বেকায়দায় আব্বাসের দল।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি আব্বাস সিদ্দিকীর দল প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট- দলের যাত্রা শুরু। তার পর নির্বাচন কমিশনের কাছে রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি চেয়ে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের তরফে আবেদন করা হয়। কিন্তু জানা যাচ্ছে এখনও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি পায়নি। তাই তারা রাষ্ট্রীয় সেক্যুলার মজলিশ- নামের বিহারের একটি দলের প্রতীক ও নামে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনে খাম চিহ্ন ও রাষ্ট্রীয় সেক্যুলার ফ্রন্টের ফ্রন্টের নাম প্রথম দফার প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। এর ফলে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট নামে কোনও দল এবারের নির্বাচনে লড়ছে না। আব্বাসের দল লড়ছে তাদেরই সহযোগি বিহারের রাষ্ট্রীয় সেক্যুলার মজলিসের নামে। আইএসএফ বলছে , বিহারের রাষ্ট্রীয় সেক্যুলার মজলিসের সঙ্গে তাদের পূর্বেকার জোট আছে। তাই খাম চিহ্ন ও রাষ্ট্রীয় সেক্যুলার মজলিসের নামে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের প্রার্থীরা নির্বাচনে লড়বে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.