ফেসবুক নিয়ে আসতে চলেছে একটি নতুন ফিচার। স্বতন্ত্র লেখক এবং সাংবাদিকদের জন্য নিয়ে আসছে এক নতুন প্লাটফর্ম। এই নতুন প্লাটফর্মের মাধ্যমে স্বতন্ত্র লেখক এবং সাংবাদিকদরা তাদের লেখা পৌছে দিতে পারবে পাঠকদের কাছে। এছাড়াও এই নতুন প্লাটফর্মের ফলে লেখক ও সাংবাদিকরা ইমেল নিউজ লেটার ও স্বতন্ত্র ওয়েব সাইটে নিজেদের কাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। ফেসবুকের নতুন এই ফিচার আগামী বেশ কিছু মাসের মধ্যে প্রকাশ পেতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
বহু লেখক এবং সাংবাদিকরা বর্তমানে ইমেল নিউজলেটার ব্যান্ডউয়াগনটি স্বতন্ত্র সম্পাদকীয় মাধ্যমকে প্রাধান্য দিচ্ছে। এর ফলে তারা বিভিন্ন বিজ্ঞাপন মডেল দেখতে পাবে এবং তা পড়তে পারবে।
সম্প্রতি অর্জন করার অনলাইন মাধ্যম সাবস্ট্রেক, মিডিয়াম, টুইটারের মতো মাধ্যমগুলি তাদের স্পেস বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় নেমেছে। যেখানে লেখকরা তাদের পাঠকদের কাছে লেখা পৌছে দেবার জন্য টাকা ও ফ্রি ইমেল নিউজলেটার পাবে।
ফেসবুকের নতুন এই প্লাটফর্মে প্রথমে লেখককে একটি সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে। এই সাবস্ক্রিপশনের বিষয়টি লেখকরা ফেসবুকের পেজে পেয়ে যাবে। ফেসবুক কোম্পানি জানিয়েছে লেখক একটি গ্রুপ বানাতে পারবে নিজের পাঠকদের জন্য।
বিশ্বের সবথেকে বড়ো সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ফেসবুক আগামী তিন বছরের জন্য সংবাদ মাধ্যমের জগতে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ভারতীয় টাকার হিসেবে ফেসবুকের এই ইনভেস্ট করার মুল্য প্রায় ৭,২৬০ কোটি টাকা। ফেসবুকের এই সংবাদ মাধ্যমের দুনিয়ায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। প্রথম স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ান সরকার কারন তারা কনটেন্টের জন্য বিপুল পরিমানে নিউজ আউটলেট প্রদান করে থাকে।
বিশ্বের সবথেকে বড়ো নেটওয়ার্ক ফেসবুক ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি লঞ্চ করে মার্ক জুকারবার্গ। এর পর ২০০৫ সালে তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ববাজের। বিশ্বের প্রায় অর্ধেকের বেশি শতাংশ মানুষ এই ফেসবুক ব্যবহারকারী। ফেসবুক তার ব্যবহারকারীর জন্য নানা চমক বহুবার এনেছে। কখনও ফেসবুকে যুক্ত হয়েছে ভিডিও কল, কখনও নানা অ্যাপ। সোশ্যাল মিডিয়ার আরও এক জনপ্রিয় অ্যাপ ইনস্টাগ্রাম এই ফেসবুকের মধ্যে রয়েছে। আর এবার ফেসবুক লেখক ও সাংবাদিকদের তাদের পাঠকদের কাছে লেখা পৌছে দেবার জন্য এনেছে এই নয়া প্লাটফর্ম। এই নতুন প্লাটফর্ম লেখকদের খুব উপকারে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.