নয়াদিল্লি : নভজ্যোত সিং সিধুকে(Navjot Singh Sidhu) নিয়ে কংগ্রেস এবার বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। এবার পঞ্জাবের উপ-মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে নভজ্যোতককে। আজই সম্ভবত সিধুর সঙ্গে দেখা করতে পারেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং(Amarinder Singh)। জানা যাচ্ছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে সে রাজ্যে নেতৃত্বক ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে কংগ্রেস হাই কমান্ড। অন্যদিকে, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর(Priyanka Gandhi) সঙ্গে সিধুর সুসম্পর্কের কথা সকলের জানা।
উল্লেখ্য,২০১৯ সাল থেকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে সিধুর মনোমালিন্য়ের সূত্রপাত ঘটে। অমৃতসর পূর্বের কংগ্রেস বিধায়কের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অমরিন্দর সিং বলেছিলেন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে শহুরে এলাকায় কংগ্রেসের ফল খারাপ হয়েছে।মন্ত্রিপরিষদের রদবদলে সিধুকে স্থানীয় স্থানীয় সংস্থার পোর্টফোলিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, তার পর তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।
সিধুর স্ত্রী নভজ্যোত সিং কউরকে লোকসভা নির্বাচনের টিকিট না দেওয়াতেও এই মনমালিন্য একটু বেড়ে যায়। গত বছর হায়দরাবাদে সিধু বলেছিলেন, ‘রাহুল গান্ধী আমার ক্যাপ্টেন। রাহুল ক্যাপ্টেনেরও ক্যাপ্টেন।’ সে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নভজ্যোত সিং সিধুকে বড় দায়িত্ব দিতে পারে কংগ্রেস।
ইমরান খানের(Imran Khan) আমন্ত্রণে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে সফরকালে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে(Qamar Javed Bajwa) জড়িয়ে ধরার বিষয়টি ভালো চোখে দেখেন নি অমরিন্দর সিং। তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। ফেব্রুয়ারিতে আইএএনএস জানিয়েছিল যে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ক্রিকেটার তথা পাঞ্জাবের রাজনীতিবিদকে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করছে। এব্যাপারে পাঞ্জাবের রাজ্য সভাপতি হরিশ রাওয়াত(Harish Rawat) এবং অমরিন্দর সিংয়ের মধ্যে আলোচনা চলছে।যদিও রাওয়াত পরে সিধুকে দলের এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন এবং বলেছিলেন তার উপস্থিতি দলকে শক্তিশালী করবে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নভজ্যোত সিং সিধুর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে চায় কংগ্রেস হাই কমান্ড। তাই অসন্তোষ মেটাতে উঠেপড়ে লেগেছে সে দল। ২০২২ সালে পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দলীয় সংগঠন মজবুত করতে তৎপর কংগ্রেস নেতৃত্ব।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.