কলকাতা: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, শুভেন্দু দুটি কেন্দ্রের ভোটার। নন্দীগ্রামে সম্প্রতি তিনি ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন। অথচ আগে থেকেই হলদিয়া কেন্দ্রের ভোটার তিনি। সেখান থেকে নাম সরাননি শুভেন্দু। একজন মানুষ কীভাবে দুই কেন্দ্রে ভোটার হতে পারে এ নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দু বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
এদিকে বুধবার ফের তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জনসভা থেকে সরব হলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সভা থেকে নন্দীগ্রামে কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। চণ্ডীপুরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। তিনি এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, কেলেঘাই নদীর ওপার থেকে বড় লিড আসবে দলে। এপারের ১০টি অঞ্চলে তৃণমূলকে ঠেকানোর আবেদন করেন তিনি। বলেন, ওসমানপুর ও চৌখালি ১ -এ যদি জনতা বিজেপিকে ভোট দেন তবে বিজেপি এলাকায় জিতে যাবে বলে সভা থেকেই জানান শুভেন্দু। কুলবাড়ি সহ একাধিক এলাকা থেকে যে বিজেপিই জিতবে এদিন সভা থেকে সেই ইঙ্গিতও শোনা যায় নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থীর গলায়।
এদিনের জনসভা থেকে তৃণমূলকে ‘প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি’ বলে খোঁচা দেন শুভেন্দু। প্রাক্তন দলকে তিনি তোষণবাজ বলেও খোঁচা দেন। বলেন গত সাড়ে ৯ বছর ধরে তোষণের রাজনীতি করেছে তৃণমূল। এরপরই সভা থেকে মমতার চণ্ডীপাঠ ও সরস্বতী মন্ত্রের রেকর্ডিং শোনান তিনি। এরপরই চাকরির পরীক্ষা ও কর্মসংস্থান নিয়ে তৃণমূলকে একহাত নেন শুভেন্দু। বলেন, এসএসসির পরীক্ষা হয়নি। ২ কোটি মানুষ বেকার। শুভেন্দু প্রতিশ্রুতি দেন, যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে তবে ৩ কোটি মানুষের চিটফান্ডের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তার মধ্যে চণ্ডীপুরের ১ লক্ষ মানুষের টাকা রয়েছে।
এদিন সভায় শুভেন্দু স্পষ্ট জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরবর্তী জনসভায় উপস্থিত থাকবেন শিশির অধিকারী। শুভেন্দু এদিন এও বলেন, তিনি তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে অমিত শাহের সভাতেই যোগদান করার কথা বলবেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.