অবাক বো
ভারতীয় কোচের দাবি, আমাদের তিনজন খেলোয়াড় ও একজন কোচিং স্টাফ করোনা আক্রান্ত বলা হচ্ছে। এটা সম্ভবই নয়। কেন না, জুরিখে সুইস ওপেন শুরুর সময় থেকে সপ্তাহ দুয়েক ধরে আমরা সকলেই আইসোলেশনে রয়েছি। গত ১৪ দিনে ৫ বার করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে সকলের। সব রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তারপরও এমন রিপোর্ট কীভাবে হতে পারে? কারণ কেউই বহিরাগতদের সঙ্গে মেলামেশা করেননি। যদিও এই পরিস্থিতির জন্য অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু ঘণ্টা পাঁচেক পিছিয়ে যেতে পারে বলে খবর।
উৎকণ্ঠায় শাটলার দম্পতি
করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভারতের শাটলার দম্পতি পি কাশ্যপ ও সাইনা নেহওয়াল। গতকাল কাশ্যপ টুইটে লেখেন, কেমন ধরনের টেস্টিং চলছে? ৩১ ঘণ্টা পরও রিপোর্ট অসম্পূর্ণ, আবার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে! ঈশ্বর জানেন কখন খেলা শুরু হবে। সাইনা নেহওয়াল টুইটে লেখেন, ৩০ ঘণ্টা হয়ে গেল নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও রিপোর্ট পেলাম না। টুর্নামেন্ট শুরুর আগের দিন অবধি রিপোর্ট পেলাম না। দুদিন ধরে অনুশীলন, জিম কিছুই করতে পারছি না।
আয়োজকদের বিবৃতি
ব্যাডমিন্টন ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ও ব্যাডমিন্টন ইংল্যান্ড যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, পর্যাপ্ত কোভিড টেস্ট করানো হয়েছে। কিছু রিপোর্ট অসম্পূর্ণ থাকায় তা ফের পরীক্ষা করা হচ্ছে। যতক্ষণ না চূড়ান্ত রিপোর্ট আসবে ততক্ষণ সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় বা সাপোর্ট স্টাফদের আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। তবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা খুব বেশি নয়। গত বছর এই টুর্নামেন্টের পরই বিশ্বজুড়ে করোনার থাবায় সব টুর্নামেন্ট বাতিল হয়ে গিয়েছিল।
ভারতীয়দের ধাক্কা
২০০১ সালে বর্তমানে ভারতীয় দলের চিফ কোচ পুল্লেলা গোপীচাঁদের পর থেকে আর কেউ অল ইংল্যান্ড ওপেন ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জেতেননি। তবে এবার চিন, চাইনিজ তাইপে, কোরিয়ার শাটলাররা না থাকায় ভারতীয় শাটলারদের সামনে পদকজয়ের ভালোই সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও তিনজন খেলোয়াড় করোনা পজিটিভ হয়ে অংশ নিতে না পারলে তা নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কাই হবে।