ওয়াশিংটন : থামছে না এক মুহুর্ত। ঘূর্ণায়মান সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা। এই প্রথম এরকম ছুটন্ত ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণায় প্রকাশ এই সুবিশাল ব্ল্যাক হোল প্রতি সেকেন্ডে ৪৮১০ কিমি গতিবেগে ছুটছে। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে এর গতিবেগ ২৯৯০ মাইল। যে সৌরজগতে এটি আবিষ্কার হয়েছে, তার নাম J0437+2456।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের গবেষকরা জানাচ্ছেন এই প্রথম চলন্ত ও ঘূর্ণায়মান ব্ল্যাক হোলের দেখা মিলেছে। আজ পর্যন্ত এরকম ছবি দেখা যায়নি। এই আবিষ্কার সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রকাশিত হয়েছে মার্চ মাসের অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালে।

কেন এই ব্ল্যাক হোল চলমান ?

ব্ল্যাক হোল সাধারণত ভারি হয়। অর্থাৎ এদের ভরকেন্দ্রের ঘনত্বের জন্য নড়াচড়া করার সুযোগ এদের থাকে না। কিন্তু এই ব্ল্যাক হোলের ক্ষেত্রে সব হিসেব উলটে গিয়েছে। এই বিশাল কৃষ্ণ গহ্বরের ভর আমাদের সূর্যের থেকে ৩০ লক্ষ গুণ বেশি। তবু এটি চলন্ত। কেন এটি ছুটে চলেছে, তার নির্দিষ্ট কোনও কারণ এখনও জানা যায়নি। বিজ্ঞানীদের ধারণা অন্য কোনও আরও ভারি ছায়াপথের ধাক্কায় এটি ছুটে চলেছে। অথবা আরেকটি ব্ল্যাক হোলের সঙ্গে ধাক্কা লাগলেও এটি চলন্ত অবস্থায় ধরা দিতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছে পরপর একাধিকবার ধাক্কা খেয়ে ছুটে চলেছে কৃষ্ণগহ্বরটি।

যে কোনও গ্যালাক্সি তৈরি হয় বিভিন্ন গ্যাসের সমাহারে, যার মধ্যে মূলত থাকে নিউট্রাল হাইড্রোজেন গ্যাস। এই গ্যালাক্সি J0437+2456-তে যে নিউট্রাল হাইড্রোজেন গ্যাসের সমষ্টি রয়েছে, সেটিও চলমান। বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল ব্ল্যাক হোল ও হাইড্রোজেন গ্যাসের মেঘের গতিবেগ প্রায় এক হবে। কিন্তু তা নয়। এখানে গতিবেগ আরও বেশি। হাইড্রোজেন গ্যাসের সমষ্টির গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ৪৯১০ কিলোমিটার।

তবে এই তথ্য উঠে আসলেও কেন ওই সৌরজগতে চলন্ত কৃষ্ণ গহ্বর দেখা গিয়েছে, তার মূল কারণ কী, এখনও জানতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। উল্লেখ্য এই ছায়াপথ পৃথিবী থেকে ২২ কোটি ৮০ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। তবে বিজ্ঞানীদের কাছে রহস্য কৃষ্ণ গহ্বর ও সৌরজগতের মধ্যে উপস্থিত হাইড্রোজেন গ্যাসের সমষ্টির গতিবেগের পার্থক্য।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।