কলকাতা: গরমকাল মানেই আলসেমি। কোনোরকমে রান্না করেই ঘুম ঘুম ভাব। আর পেটে ভাত পড়লে তো কোনো কথাই হবে না। হাত-মুখ মুছেই সোজা বিছানায়। দেহখানি ফেলতে পারলেই এসির মৃদু ঠান্ডা হাওয়ায় চোখ জুড়িয়ে আসে ঘুম। আমরা ভাবছি সারাদিনের ক্লান্তির পর একটু ঘুম তো দরকার। কিন্তু সেখানেও রয়েছে অনেক বারণ। না শুনলেই লস আপনার। কারণ ক্ষতি হবে শরীরেরই। সঠিক নিয়ম মেনে ঠিকমতো খাবার খেলে যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, তেমনই নিয়ম না মেনে ভুলভাল খাদ্যাভ্যাসের ফলে আবার স্বাস্থ্যের অবনতি হতেও সময় লাগে না।
১. আমরা অনেকেই মানি যে খালি পেটে জল আর ভরা পেটে ফল। কিন্তু বিজ্ঞান একে সমর্থন করছে না। ভরা পেটে কখনোই ফল খাওয়া উচিত নয়। খালি পেটে ফল খেলে সেই ফলের গুণাগুণ আমাদের দেহ শোষণ করতে পারে। খাওয়ার বেশ কিছুটা সময় পরে ফল খাওয়া উচিত। অন্তত ৩০ মিনিট পর খেতে পারেন। খাবার খেয়েই ফল খেলে হজমের সমস্যাও হতে পারে।
২. আমাদের অনেকের অভ্যেস রয়েছে খেয়েদেয়ে ঘুমের দেশে পাড়ি দেওয়ার। এই অভ্যেস খুবই খারাপ। খেয়ে উঠেই শুয়ে পড়লে ওজন তো বাড়তেই থাকবে আবার হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই খেয়ে উঠে অন্তত এক ঘণ্টা পরে বিছানায় ঘুমাতে যান।
৩. খেতে বসে জল পাশে রাখবেন না। কারণ খেতে খেতে জল পান অনুচিত। এমন করলে হজমে সহায়ক গ্যাসট্রিক রসকে সেই জল হালকা করে দেয়। ফলে খাবার ঠিকমতো হজম হতে চায় না। এর থেকে গ্যাসও হতে পারে। তাই খাবার খাওয়ার পর ৩০ মিনিট মতো অপেক্ষা করুন জল পানের জন্যে।
৪. খাবার পরেই অনেক ;পুরুষের অভ্যাস ধূমপান করা। কিন্তু জেনে রাখুন যে ভরা পেটে ধূমপান করলে তা শরীরের বেশি ক্ষতি করতে পারে। আবার ভরা পেটে ধূমপান করলে ইনটেসটাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৫. পেটভর্তি করে খেয়ে অনেকেরই পেট আইঢাই করতে থাকে। প্যান্ট পরলে তারা সঙ্গে সঙ্গে কোমরের বেল্ট একটু হালকা করে নেন। এটিও কিন্তু খারাপ অভ্যেস। প্রথম কথা কখনোই পেট এতটা ভর্তি করে খাওয়া উচিত নয়, যাতে আপনার শরীরে মধ্যে আনচান করে। এই অভ্যেস থাকলে আপনার অতিরিক্ত খাওয়া কেউ ঠেকাতে পারবে না। আর অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়বে, সঙ্গে হজমের সমস্যা তো আছেই।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.