জলই জীবন, একথা সকলেই বলেন। তবে ছত্তিশগড়ে বলরামপুর জেলার কাছেই এমন এক গ্রাম আছে যেখানের বাসিন্দাদের পানীয় জলের জন্য প্রতিদিন লড়াই করতে হয় ও তাঁরা সারা বছর দূষিত জল পান করতে বাধ্য হয়। অবাক কাণ্ড হল, যে নদী থেকে গ্রামবাসীরা জল পান করেন, সেই নদী থেকেই জল পান করে গবাদি পশু ও বন্য প্রাণীরাও।

প্রশাসন উন্নতির সুরে হাজার কথা বললেও উন্নয়ন যে কতটা হয় তার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ হতে পারে বলরামপুরের চর্চরী গ্রাম। এই গ্রামের আগ্রিয়া পাড়ায় প্রায় ৪০-৫০ জন মানুষ বাস করেন, তাঁদের পানীয় জলের একমাত্র উপায় হল গ্রামেরই এক নদী।

তবে এর চেয়েও খারাপ খবর হল, এই নদী থেকে শুধু দূষিত জলই পাওয়া যায়। গ্রামবাসীরা প্রতিদিন নদীতে গর্ত বানায় সেই গর্ত থেকে জল তোলে আবার সেই জলই পান করে। ছোট বাচ্চারা প্রায়ই, এই জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে গ্রামবাসীর কাছে আর কোনও উপায় নেই, তাঁরা ওই জল খেতেই বাধ্য।

আরও খবর পড়ুন – একই সঙ্গে অনেক ফোনে তথ্য পাঠানো যাবে গুগল নিয়ারবাই শেয়ারে

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নেতারা শুধুমাত্র ভোট চাইতে আসে, তারপরে সবাই ভুলে যায়। প্রশাসন শুধুই ফাঁকা প্রতিশ্রুতি দেয়। কিছু গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, তাঁরা তিন প্রজন্ম ধরে শুধু দূষিত জলই পান করে আসছেন। অনেক সরকার এসেছে-গেছে কিন্তু এই গ্রামের অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি।

পঞ্চায়েতের এক আধিকারিক অবশ্য বলছেন, গ্রামবাসীরা যে নদীর জল খাচ্ছে, তা তিনি জানতেন না। যাতে গ্রামবাসীরা ভালো জল পেতে পারে সে জন্য শীঘ্রই নলকূপ বসানো হবে।

গ্রামবাসীদের মনে অবশ্য ওই আধিকারিকের কথায় তেমন আশ্বাস নেই। তাঁদের বক্তব্য ওই আশ্বাস কাগজ-পত্র অবধিই থাকবে। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, নদীর জল খেয়েই আমরা বুড়ো হয়েছি, বৃষ্টিতে নদীর জল লাল হয়ে যায়, আমরা এতে স্নান করি, আবার এই জলই আমরা খাই। প্রশাসন আসে শুধু নির্বাচনের সময়, ভোট চাইতে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।