হাওড়া : এত নেতা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়ে টিকিট পেয়ে যাচ্ছেন এতে ক্ষোভের জায়গা তৈরি হতোই বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। ঠিক সেটাই হয়েছে। তৃণমূলের মতোই মারামারি বিজেপির অন্দরেও। শহর থেকে মফঃস্বল হয়ে গ্রাম। দফায় দফায় ঝামেলা স্পষ্ট হচ্ছে বিজেপি ‘আদি’ ও ‘সদ্য’-দের মধ্যে।
হাওড়া গ্রামীণ জেলার বিভিন্ন বিধানসভায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আচমকাই হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির প্রধান কার্যালয়ে ‘হামলা’ চালাল দুষ্কৃতিরা। অভিযোগ, পাঁচলায় এক বিজেপি নেতা টিকিট না পাওয়ায় তার অনুগামীরা জেলা পার্টি অফিসে ‘হামলা’ চালায়। যদিও, সমস্তটাই তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতিদের চক্রান্ত বলেই দাবি করেছে জেলা বিজেপি।
জানা যায়, একদল দুষ্কৃতি আচমকাই উলুবেড়িয়ার মনসাতলায় হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির কার্যালয়ে হামলা চালায়। অভিযোগ, দুষ্কৃতিরা মুহুর্তের মধ্যে কার্যত লণ্ডভণ্ড করে দেয় জেলা পার্টি অফিস। বিভিন্ন কাগজপত্র ফেলে দেওয়া হয়। ছিঁড়ে দেওয়া হয় দলের ফ্লেক্স।” ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির জোনাল কনভেনার অনুপম মল্লিক জানান,”এটা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরাই ঘটিয়েছে।” তিনি আরও বলেন,”যদি বিজেপির কেউ এর সাথে যুক্ত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
তবে বিজেপির তরফে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই উলুবেড়িয়ার প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী আনন্দময়ী কালীবাড়িতে গিয়ে পুজো দিয়ে ভোটের প্রচারে নেমে পড়েন উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী তথা হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির সভাপতি প্রত্যুষ মন্ডল। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মিছিল করে উলুবেড়িয়ার আনন্দময়ী কালীবাড়িতে আসেন বিজেপির প্রার্থী প্রত্যুষ মন্ডল। আনন্দময়ী কালী মায়ের কাছে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন। প্রত্যুষ মন্ডল জানিয়েছিলে, ‘সোমবার থেকেই জোরকদমে প্রচার চলছে , যা আরও বড় হবে।’
প্রত্যূষ মণ্ডল আগে আরএসএস করতেন। তারপরেই প্রবেশ কলেজ রাজনীতিতে। ওই সময়ে এবিভিপি’র বড় পদে নিযুক্ত ছিলেন। ধীরে ধীরে গ্রামীণ হাওড়ায় বিজেপির সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে পান হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির সভাপতির পদ। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। তবে হেরে যান। এবারে জয়ের ব্যপারে আশাবাদী প্রত্যুষ মন্ডল। তবে ঘটনা হল। হাওড়ার বহু স্থানে বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হবার পর থেকেই অশান্তি চলছে। দুই দিন পরেও অব্যহত সেই অশান্তি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.