নয়াদিল্লি : কার্যত চমকে গেলেন বিজ্ঞানীরা। এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের ফল চমকে দিল তাঁদের। একটি গ্রহাণুর পৃষ্ঠ থেকে মিলল জল ও জৈব পদার্থের সন্ধান। ইটোকাভা (Itokava) নামের ওই গ্রহাণু থেকে এই ধরণের পদার্থ আবিষ্কার হওয়া বেশ আশ্চর্যের বলেই মনে করছেন গবেষকরা।
বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার প্রকাশিত হয়েছে সায়েন্টিফিক রিপোর্ট নামের একটি জার্নালে। সেখানে বলা হয়েছে ২০১০ সালে প্রথম বিজ্ঞানীরা ওই গ্রহাণু (Asteroid) থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। এই প্রজেক্টে ছিলেন জাপানের মহাকাশ সংস্থা জাপান এয়ারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি বা জাক্সার (Jaxa) বিজ্ঞানীরা। অবশেষে সেই নমুনা থেকেই এই আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা। এই প্রথম কোনও গ্রহাণুতে এই ধরনের উপাদান মিলল।
Congratulations to the Hayabusa asteroid sampling mission! If you haven’t heard, Japan has successfully landed a probe on asteroid 25143 Itokawa and collected samples in flawless execution. Still don’t believe asteroid mining is around the corner? Join us: https://t.co/DRkuJDTezN
— WSMCR Forum (@WSMCRForum) February 24, 2021
পৃথিবীর ইতিহাস জানতে এই আবিষ্কার বেশ সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে। পৃথিবীর উৎস কী, কীভাবে পৃথিবীতে জৈব পদার্থের সৃষ্টি হল, সেই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে সাহায্য করবে এই গ্রহাণু বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। মনে করা হচ্ছে এই গ্রহাণু থেকেই পৃথিবীতে সেইসব জিনিস এসেছে। নমুনা খতিয়ে দেখছেন বিজ্ঞানীরা।
গত মাসেই ইটাকাভা নিয়ে বিস্তৃত পরীক্ষা নিরীক্ষা চালান আকারির গবেষকরা। ইনফ্রারেড ক্যামেরার সাহায্যে পরীক্ষা চালানো হয়। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়্যাল হোলোওয়ের গবেষকরা এই মিশনের নাম দেন হায়াবুসা (Hayabusa mission)। এই হায়াবুসা মিশন একটি রোবোটিক স্পেসক্রাফট, যা তৈরি করেছেন জাপানের এয়ারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি বা জাক্সার (Jaxa) বিজ্ঞানীরা।
রয়্যাল হোলোওয়ের আর্থ সায়েন্সের বিজ্ঞানী কুইনি চ্যান জানান, মনে করা হচ্ছে পৃথিবীর উৎসের সময় এই অংশ ছিটকে যায়। এক প্রেস রিলিজও প্রকাশ করে চ্যান। তাঁর মতে ওই গ্রহাণুতে যে মৌলিক উপাদান মিলবে তা পৃথিবীর বিবর্তনের গল্প জানে। সেই উৎস সন্ধানেই আপাতত ব্যস্ত বিজ্ঞানীরা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.