দিলীপ-মুকুলদের ডেকে পাঠিয়েছেন অমিত
প্রার্থীদের বদলের দাবিতে বিক্ষোভ প্রশমনে অমিত শাহ জরুরি বৈঠক করে গিয়েছেন কলকাতায়। তারপরই ফের তিনি দিলীপ-মুকুলদের ডেকে পাঠিয়েছেন দিল্লিতে। তাঁর জরুরি তলবেই বেড়েছে উভয়ের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা। এখন দেখার পঞ্চম ও ষষ্ঠ দফার জন্য প্রার্থী তালিকায় বঙ্গ বিজেপির দুই স্তম্ভ দিলীপ ঘোষ ও মুকল রায়কে বিজেপি প্রার্থী করে কি না।
২০০৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হন মুকুল
মুকুল রায় মাত্র একবারই প্রার্থী হয়েছিলেন। ২০০৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে তিনি প্রার্থী হলেও জিততে পারেননি। তারপর থেকে আর ভোট ময়দানে প্রার্থী হয়ে বিরাজমান হননি তিনি। তারপর থেকে বরাবরই তিনি পর্দার আড়ালে থেকে চাণক্যের ভূমিকা পালন করে এসেছেন। কোনও ভোটেই প্রার্থী হননি। তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে কেন্দ্রের মন্ত্রিসভায় ছিলেন।
যদি বিজেপির টিকিটে মুকুল প্রার্থী হন এবং জেতেন
এবার যদি বিজেপির টিকিটে মুকুল রায় প্রার্থী হন এবং জেতেন, তবে তিনি প্রথমবার জনগণের ভোটে জিতে আইনসভায় প্রবেশ করবেন। এবং তা যদি হয়, সেটা হবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে, বিজেপি মুকুল রায়কে কৃষ্ণনগরের কোনও কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করতে পারে। যদিও মুকুল রায় এ ব্যাপারে ধরাছোঁয়া দিচ্ছেন না। তিনি প্রার্থী হতেও নিমরাজি বলে জানা গিয়েছে।
দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করা নিয়েও আলোচনা বিজেপিতে
মুকুল ছাড়াও দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করা নিয়েও আলোচনা চলছে বিজেপিতে। দিলীপ ঘোষ ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিধায়ক নির্বাচিত ছিলেন। খড়গপুর সদর কেন্দ্র থেকে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তারপর ২০১৯-এ মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে তিনি সাংসদ হন। এবং বিধায়ক পদ ত্যাগ করেন।
সাংসদ প্রার্থীর সংখ্যা কি আরও বাড়বে বিজেপির
এখন যা পরিস্থিতি, দিলীপ ঘোষকে যদি প্রার্থী করা হয়, তবে আরও এক সাংসদ বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন। তাঁর খড়গপুর সদরে প্রার্থী হয়েছেন অভিনেতা হিরণ। আর বিজেপি এর আগে চারজন সাংসদকে প্রার্থী করেছে। বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, নিশীথ প্রামাণিক ছাড়াও রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তও প্রার্থী হন।
বিজেপি বলছে পরিকল্পনা, তৃণমূলের কটাক্ষ দৈন্যতা
বিজেপি বলছে এটি তাঁদের প্ল্যান। বিজেপি এবার দিতছেই। রাজ্যে পরিবর্তনের সরকার গড়তেই ভাবনা-চিন্তা করে বিজেপি প্রার্থী করছে। আগামী সরকারের প্রতিচ্ছবি রয়েছে প্রার্থী পদে। যদিও তৃণমূল ব্যাখ্যা করেছে, বিজেপি তাঁদের দৈন্যতা প্রকট করে দিয়েছে। যোগ্য প্রার্থী নেই বলেই সাংসদ-কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রার্থী করা হচ্ছে।