সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : বছর চারেকের ছোট্ট নামশিলা পাতায় আঁকা আমের মধ্যে রঙ ভরতে ব্যস্ত৷ আবার কুশনু, রাজারা অক্ষর চিনতে ব্যস্ত। বসন্তের বিকালে এভাবেই বিভিন্ন মজার খেলার মধ্য দিয়ে বসন্তের আনন্দকে নামশিলা, কুশনু, মাধবীর মতো ইটভাটার প্রান্তিক শিশুদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন আমতার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ’-এর সদস্যরা।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির তরফে গ্রামীণ হাওড়ার বাগনান-২ ব্লকের বেনাপুর এলাকার একটি ইটভাটায় ‘অন্য বসন্ত’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইটভাটার শিশুদের সঙ্গে বিভিন্ন গেমসে মেতে ওঠেন সংগঠনটির সদস্য-সদস্যারা। ছিল অক্ষর চেনা, ছবিতে রঙ ভরা, শব্দ তৈরির মতো বিভিন্ন মজাদার খেলা। শিশুদের পাশাপাশি ইটভাটায় কর্মরত মহিলা ও পুরুষদের জন্যও ফুটবল কিক, মোমবাতি জ্বালানোর মতো বিভিন্ন ইভেন্টের আয়োজন করা হয়। খেলার শেষে শিশু ও মহিলাদের হাতে বিশেষ উপহার ও মিষ্টি তুলে দেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির সদস্যরা।

সংগঠনটির সম্পাদক তাপস পাল জানান,”প্রতিবছরই আমরা বসন্তের এই আনন্দকে সমাজের প্রান্তিক শিশুদের সাথে ভাগ করে নিই। কোনোবার অনাথ আশ্রম, আবার কখনো বা ইটভাটায় অন্য বসন্তের আয়োজন করা হয়। এবার এখানে মোট ৮ টি ইভেন্ট রাখা হয়েছিল। ৬০ জন শিশু সহ মোট প্রায় ৯০ জন মানুষ এদিনের এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।” অনুষ্ঠানের শেষে ইটভাটার শিশুদের সাথে পরিবেশবান্ধব আবীর খেলায় মেতে ওঠেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির সদস্যরা।

করোনার করাল থাবায় দিয়েছে দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারে। দুঃস্থদের অবস্থা আরও শোচনীয় করে দিয়েছে করোনা। যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, যাদের একবেলা খেলে আর একবেলা শুধু নয়, পরের দিনও হয়তো খাবার জোটেনা তাঁদের চিন্তা ছিল না পুজো নিয়ে। বহু মানুষই কর্মহীন ,কেউ আবার নিজের একবেলার ভাতটুকু জোটাতেও হিমশিম খাচ্ছেন। সবাই আশা করেন দেবীর অসুর দমনকারী রূপে আগমনের অর্থ ওদের মুখেও ফুটবে হাসি, অভাব-অনটনের মাঝেও জ্বলবে শান্তির দীপ্ত শিখা। কিন্তু হয় না। বাস্তব অন্যরকম। ওঁদের মুখে হাসি ফোটাতে প্রতিবারের মতো ২০২০ সালেও ‘আমাদের ছুটি ছুটি’র নামক একটি সেবামূলক কর্মসূচী নিয়েছিল আমতার এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ’।

উদং তরুণ সংঘের মাঠে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমতার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে উদং,ফতেপুর,পূর্ণাল,ভূঁয়েড়া সহ আমতা-১ ও বাগনান-১ ব্লকের ৭-৮ টি গ্রামের ৫০ জন শিশু,কিশোর-কিশোরীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল নতুন জামা ও শিক্ষাসামগ্রী।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।