ওজনদারদের টিকিট
বিধানসভা নির্বাচনে এখনও পর্যন্ত বিজেপির প্রার্থী তালিকায় দলের অনেক ওজনদারকে প্রার্থী করা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে জয়ী নিশীথ প্রামাণিক, বাবুল সুপ্রিয় এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়কে যেমন প্রার্থী করা হয়েছে, প্রার্থী করা অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ী থেকে শুরু করে প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষকেও।
দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায়কে প্রার্থী করার ভাবনা
অমিত শাহের ভাবনায় রয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ও। এই দুজনকে অমিথ শাহ ভোটের ময়দানে দেখতে চান। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দিলীপ ঘোষকে বীরভূমের কোনও একটি আসনে (সেখানে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ফল ভাল হয়েছে) এবং মুকুল রায়কে নদিয়ার কৃষ্ণনগর দক্ষিণের মতো কোনও একটি আসনে প্রার্থী করতে চান তিনি। গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে কৃষ্ণনগর দক্ষিণ আসনে এগিয়ে ছিল বিজেপি। তবে ভোটের চাণক্যরা লড়াই করেছেন এমন উদাহরণ রয়েছে আগেই। সিপিএম-এর অনিল বিশ্বাস লড়াইয়ে শামিল না হলেও, প্রণব মুখোপাধ্যায় লড়েছিলেন জঙ্গিপুর থেকে আর অমিত শাহ গান্ধীনগর থেকে।
দিলীপ জিতেছিলেন, মুকুল হেরেছিলেন
দিলীপ ঘোষ এর আগে ২০১৬-তে খড়গপুর সদরে জিতেছিলেন। পরে মেদিনীপুরে আসনে জিতে লোকসভায়। কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে মুকুল রায় লোকসভা কিংবা বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননিষ শেষবার তিনি বিধানসভায় দাঁড়িয়েছিলেন ২০০১ সালে, জগদ্দল আসন থেকে। হেরেছিলেন তিনি। তারপর মুকুল রায়কে রাজ্যসভাতেই দেখা গিয়েছে। আর মুকুল রায় পছন্দ করেছেন সংগঠনকেই। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেও তাইই।
রাজি নন মুকুল রায়
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভোটে লড়াইয়ের দিলীপ ঘোষের কোনও আপত্তি না থাকলেও মুকুল রায় সেভাবে তৈরি নন। তা ছাড়াও প্রচারে ধকল নেওয়ার মতো শরীর ভাল নয়। বেশ কিছুদিন আগেই অমিত শাহ মুকুল রায়কে ভোটে লড়াইয়ের বার্তা দিয়ে রেখেছেন বলেই জানা গিয়েছে। এব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে মুকুল রায় তাঁকে প্রার্থী করতে চাওয়ার বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের ইচ্ছার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। পাশাপাশি বলেছেন, তিনি কী চাইছেন, সেটাও দেখতে হবে। তবে তিনি কি প্রার্থী হতে চাইছেন, এর জবাবে মুকুল রায় সরাসরিই বলেছেন না। তবে অমিত শাহ নির্দেশ দিলে তা কতটা তিনি অমান্য করতে পারবেন, তা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে।