দিল্লি–নয়ডা সীমান্ত অবরোধ
বিকেইউ-এর মুখপাত্র রাকেশ টিকেইত জানিয়েছেন, তাঁরা দিল্লি-নয়ডা সীমান্ত ব্লক করবেন। তবে কমিটি এখনও চূড়ান্ত দিন স্থির করেননি। প্রসঙ্গত, এর আগেও ২৬ জানুয়ারির আগে দিল্লির মাহেম, দিল্লি-নয়ডা ক্রসিংয়ের চিলিয়া সীমান্ত অবরোধ করেছিল অন্য কৃষক সংগঠনগুলি। যদিও জাতীয় রাজধানীতে ২৬ জানুয়ারির হিংসাত্মক ঘটনার পর কিছু কৃষক নেতা তাঁদের প্রতিবাদ শেষ করে সীমান্ত এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন। গত ২৬ জানুয়ারি প্রতীকি প্রতিবাদ হিসাবে ট্র্যাক্টর মার্চ করেন কৃষকরা, কিন্তু তা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এখানে উল্লেখ্য, দিল্লি সীমান্তে কৃষকরা তাদের আন্দোলন তীব্র করার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জোরদার করার চেষ্টা করছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কৃষক প্রতিবাদ
এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য গাজিপুর সীমান্তে এ নিয়ে ব্লুইপ্রিন্ট তৈরি হচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই, সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে তীব্র আলোড়ন হোক এবং জনগণ আন্দোলনের বিষয়ে সঠিক বার্তা পাক। এই পরিকল্পনাকে ডিজিটালে নিয়ে আসার জন্য মঙ্গলবার এ নিয়ে প্রতিবাদ স্থানে আলোচনা হয় এবং এই ধরনের কাজের জন্য কি কি প্রয়োজন তার তালিকা প্রস্তুত করা হয় এবং জিজিটালে এ ধরনের বিষয় দায়িত্ব নিয়ে প্রচার করবে সেরকম বহিরাগত-পেশাগতভাবে দক্ষ কাউকে দরকার বলেও এই আলোচনায় উঠে আসে।
কৃষক আন্দোলনকে জোরদার করা হবে
এটা পর্যবেক্ষণের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার, ভিডিও এটিটর, ডিজিটাল কনটেন্ট, কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের তালিকা, বুস্টিং ইত্যাদির তালিকা তৈরি হয়েছে। এগুলির পাশাপাশি কিছু প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কোন বিষয়বস্তু আপলোড করা উচিত সেজন্য সীমান্তেও চেষ্টা চলছে যাতে এটি যথাসময়ে যতটা সম্ভব লোকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় এবং কৃষকদের আন্দোলন আরও জোরদার করা যায়।
ডিজিটালে কৃষক আন্দোলনকে নিয়ে আসা
ভারতীয় কিষাণ সংগঠনের মিডিয়ার দায়িত্বে থাকা ধর্মেন্দ্র মালিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কৃষকদের আন্দোলনকে সোচ্চার করার তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘লক্ষাধিক মানুষ প্রতিবাদ স্থানে এসে পৌঁছেছেন এবং তাঁরা তাঁদের মোবাইল নম্বরও দিয়েছেন। যারা বিকেইউ-এর মুখপাত্র রাকেশ টিকেইতের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ করতে চান তাদের কাছে সরকারি তথ্য কীভাবে প্রচার করা যায়? ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবের মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে, যেখানে একজন ব্যক্তি তাঁর পছন্দ অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বেছে নিতে পারবেন এবং এই মাধ্যমে তিনি আন্দোলন সম্পর্কে যাবতীয় পেতে সক্ষম হবেন।' মালিক এও জানিয়েছেন যে এটা ছাড়াও সিংঘু, টিকরি ও গাজিপুর সীমান্তকে কীভাবে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ
কৃষকদের আন্দোলনকে ডিজিটালি নিয়ে আসার জন্য বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে। যাঁরা কোনও অর্থের বিনিময়ে এই কাজ করতে রাজি হবেন বলে জানিয়েছেন মালিক। তিনি এও জানান যে কোনও অনুদান এক্ষেত্রে গ্রহণ করা হবে না। প্রসঙ্গত, তিনটে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ নভেম্বর থেকে দিল্লির বিভিন্ন সীমান্তে ,প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। বেশ কয়েকবার সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পরও কোনও রফাসূত্র মেলেনি।