কানাঘুঁষো শোনা যাচ্ছিল অনেকদিন ধরেই। অবশেষে সরকারি ভাবে সেই জল্পনায় বৈধতা দিল অবসরকালীন তহবিল সংস্থা প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন বা ইপিএফও-কে। সূত্রের খবর, ইপিএফও মহামারি চলাকালীন সময়ে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে গোটা দেশে ৭১.০১ লক্ষ কর্মচারীর প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ) অ্যাকাউন্ট পুরোপুরি ভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। যা আগের বছর সময়ের থেকে প্রায় ৫ লক্ষেরও বেশি বলে জানা যাচ্ছে। করোনাকালে চাকরির বাজারে তীব্র মন্দার জেরেই এই সঙ্কট বলে মনে করা হচ্ছে।
পরিসংখ্যান বলছে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে মোট বন্ধে হয়ে যাওয়া ইপিএফ অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৭১ লক্ষ ১ হাজার ৯২৯। সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ্যে আনেন শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গওয়া। লোকসভায় আলোচনা সভা চলাকালীন সময়ে এই তাঁকে তথ্য প্রকাশ করতে দেখা যায় বলে জানা যাচ্ছে। ২০১৯ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া অ্যাকাউন্টের আসল সংখ্যা ছিল ৬৬ লক্ষ ৬৬ হাজার ৫৬৩।
পাশাপাশি ২০২০ সালের এপ্রিল-ডিসেম্বর মাসে আংশিক প্রত্যাহারকারী ইপিএফ অ্যাকাউন্টের সংখ্যাও বেড়েছে ১ কোটি ২৭ লক্ষ ৭২ হাজার ১২০। ২০১৯ সালে একইসময়ে এই সংখ্যা ছিল ৫৪ লক্ষ ৪২ হাজার ৮৮৪। অন্যদিকে গত এপ্রিল-ডিসেম্বরে সমস্ত ইপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৭৩,৪৯৮ কোটি টাকা তোলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তার আগের বছর একই সময়ে যে পরিমাণ চিল ৫৫,১২৫ কোটি। এদিকে এই তথ্য সামনে আসতেই তীব্র চাপানৌতর শুরু হয়েছে সমাজের বিভিন্ন মহলে। এমনকী দেশের কর্মসংস্থানের হালহকিকত নিয়েও শুরু হয়েছে চর্চা।
স্বস্তিতে মহিলারা, ২৪ সপ্তাহেও গর্ভপাত সম্ভব, রাজ্যসভায় পাশ গর্ভাবস্থা (সংশোধনী) বিল