বাংলার মানুষকে বাঁচাতেই আসতে হচ্ছে
বুধবার পায়ে আঘাত লাগার পরে রবিবার কলকাতায় বেরিয়েছিলেন। আর সোমবার থেকে প্রচারে। সোমবার পুরুলিয়ায় প্রচারের পরে মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়া তিনটি সভা করেন। সেখানে তিনি বলেন, পায়ের সব থেকে মোটা হাড়ে আঘাত লেগেছে। বংলার মানুষকে বাঁচাতে কষ্ট করে হলেও আসতে হচ্ছে।
যতক্ষণ ভোট, ততক্ষণ আহত
এদিন অধীর চৌধুরী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুইল চেয়ারে প্রচার সম্পর্কে বলেন, যতক্ষণ ভোট ততক্ষণ তিনি আহত। তিনি সহানুভূতির ভিক্ষা করছেন। অধীর বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টারে উঠছেন সোজা পায়ে, বাড়ি যাচ্ছেন সোজা পায়ে। কিন্তু প্রচারে বেরিয়ে হুইল চেয়ারে বসছেন। হুইল চেয়ার এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার মূলধন। এব্যাপারে অধীর চৌধুরী বলেছেন, প্রথম দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন কোনও পুলিশ ছিল না আক্রমণ হয়েছে। তাঁকে মারার চেষ্টা করা হয়েছে। আর ২৪ ঘন্টা পরেই পাল্টিবাজি করে, তিনি বলেছেন, ধাক্কা লেগেছে। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, এমন আঘাত লাগল ২৪ ঘন্টা পরে হাসপাতাল ছুটিও দিয়ে দিল। অধীর চৌধুরী বলেন, যদি বিষয়টি গুরুতর হত তাহলে একদিনে হাসপাতাল থেকে ছুটি হত না।
জন সমক্ষে প্রকাশ করা হোক এক্সরে রিপোর্ট
এদিন অধীর চৌধুরী জনসমক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক্স রে রিপোর্ট প্রকাশের দাবি করেন। এব্যাপারে এসএসকেএম চিকিৎসকদের কী পরামর্শ ছিল তাও প্রকাশ করার দাবি করেছেন তিনি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ পুরোটাই ভুয়ো, রাজনৈতিক ভণ্ডামী। মানুষের সহানুভূতি কিনতেই তা করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভণ্ডামী আগেও রাজ্যের মানুষ দেখেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২৬ দিন অনশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেউ কি বিশ্বাস করবেন ২৬ দিন কেউ জল না খেয়ে থাকতে পারেন। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, ডান পায়ে আঘাত লাগে তো বা-পায়ে প্লাস্টার হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক ভণ্ডামীতে অভ্যস্ত বলেও মন্তব্য করেছেন অধীর চৌধুরী।
সাজানো নাটক
অধীর চৌধুরী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতে গিয়ে বলেছেন, তিনি রাজনৈতিক ভণ্ডামিতে অভ্যস্ত। তাই নির্বাচন আঘাত লেগে গেল। আঘাত লাগল ভর্তি হয়ে গেল। নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতা ১৩০ কিমিতে কোনও হাসপাতাল পাওয়া গেল না। ভর্তি হওয়ার পরে ডাক্তার দেখল। একদিন পরে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হল। তারপর হুইল চেয়ার দরকার পড়ল। পুরোটাই সাজানো নাটক। হুইল চেয়ার নাটক নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য একটা রাজনৈতিক অস্ত্র, বলেছেন অধীর চৌধুরী।