স্টাফ রিপোর্টার , কলকাতা : এবার ভোটের প্রার্থীদের হুঁশিয়ারি বাংলাপক্ষের। তারা বলছেন, বাংলায় ভোট। বাংলার মানুষের ভোট। বাঙালির নির্বাচন, তাই প্রার্থীদের প্রচারও হোক বাংলা ভাষায়। হিন্দি যেন না তারা কোনওভাবে তাদের প্রচারে ব্যবহার না করেন সেই আবেদন প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন তারা। সেই তালিকায় রাজ চক্রবর্তী, ঐশী ঘোষ থেকে শুরু করে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাই রয়েছেন।

বাম প্রার্থী ঐশী ঘোষকে সম্প্রতি একটি প্রচার সভায় হিন্দিতে প্রচার করতে দেখা যায়। সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় , তিনি বাঁকুড়া থেকে তৃণমূলের প্রার্থী। তাঁকেও একটি হিন্দি ব্যনারের সামনে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে। রাক চক্রবর্তীও নাকি কোথাও কোথাও ব্যরাকপুরে গিয়ে হিন্দিতে তাঁর প্রচার সেরেছেন। তাই এঁদের বাংলাপক্ষ আবেদন করেছে যেন তাঁরা বাংলায় বাংলা ভাষায় তাদের প্রচার করেন। পাশাপাশি বাংলাপক্ষের বাঙালিকে বার্তা , ‘বাংলায় যেখানেই কোনও প্রার্থীকে হিন্দি-উর্দুতে ভাষণ দিতে দেখবে সাথে সাথে প্রতিবাদ করো। সেটা প্রচারে হোক, ফেসবুক ভিডিওতে হোক। এটা করতেই হবে।’

বাংলা পক্ষ সবসময়েই বলে এসেছে , ‘ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র নানা রাজ্যের সমাহার। কিন্তু এই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করে রাজ্যের অধিকার কেড়ে নিয়ে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ বাংলা ও বাঙালির বিরুদ্ধে বৈষম্য চালাচ্ছে, আমাদের শেষ করে দিচ্ছে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ভাবে, ধ্বংস করছে পশ্চিমবঙ্গে বাঙালী জাতির অধিকার, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অধিকার। এই ফন্দিকে অসফল করতে চায় বাংলা পক্ষ।’ তাদের দাবী, ‘ভারতীয় সংবিধানের মূল নীতি রক্ষা করতে, এই আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে রক্ষা করে আরও সুদৃঢ় করতে সমানাধিকার ও সম্মানের ভিত্তিতে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য সাধনের জন্য দরকার একটি সত্যিকারের যুক্তরাষ্ট্রীয় বা ফেডারেল ব্যবস্থা। সত্যিকারের ফেডারেল ব্যবস্থা সেটাই, যেখানে মুদ্রানীতি (অর্থাৎ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক), রেল, অন্য রাষ্ট্রের থেকে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র ছাড়া অন্য সকল ক্ষেত্র সম্পূর্ণভাবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের হাতে ন্যস্ত হবে। এটাই আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য।যতদিন এই চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জিত না হয়, ততদিন আমরা নিচের দাবি গুলি পূরণের জন্য বাংলা ও বাঙালির পক্ষে আন্দোলন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’ তাই তাঁরা এই প্রতিবাদ করে থাকেন। বাংলার ভোটের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি।

সম্প্রতি বাঙলায় ব্যবসা করতে হলে বাংলা ভাষায় পরিষেবা দিতে হবে, এই দাবিকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী শহর কলকাতার প্রাণ কেন্দ্র ধর্মতলায় বাংলা পক্ষের তরফে শনিবার ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা ‘বর্ণপরিচয়’ বিলি করেছিল বাংলাপক্ষ। তাঁদের দাবী ছিল, ‘ধর্মতলা অঞ্চল পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে হলেও সেখানে বাংলা ভাষায় পরিষেবা দেওয়া হয় না। বাঙলায় থাকতে হলে বাঙলায় পরিষেবা দিতে হবে, তাই ‘বর্ণপরিচয়’ বিলি করে এলাকার বাংলা বলতে না পারা ব্যবসায়ীদের বাংলা ভাষা শেখার বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা করছে বাংলাপক্ষ।’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।