মহারাষ্ট্র সরকারকে নয়া কৌশল অবলম্বনের নির্দেশ
শুধুমাত্র সাধারণ কোভিডবিধিতেই যে মারণব্যাধির নবজোয়ারকে রুখতে পারবে না প্রশাসন, তা বুঝতে পেরেই শিবসেনা সরকারকে চিঠি লিখল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ অঞ্চল পরিদর্শন করে গেছে কেন্দ্রের বিশেষ কোভিড বিশেষজ্ঞ দল। বিশেষজ্ঞ দলের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ঠাকরে সরকারকে কেন্দ্রের দাওয়াই, "কন্টেনমেন্ট অঞ্চলে সঠিক সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা নির্ধারণ করার পাশাপাশি কন্ট্যাক্ট-ট্রেসিংয়ের সংখ্যাও প্রভূত বাড়াতে হবে।"
১ জন আক্রান্ত পিছু গড়ে ২০-৩০ জনের কন্ট্যাক্ট-ট্রেসিং
কেন্দ্রের মতে, প্রতি ১ জন করোনা আক্রান্ত পিছু প্রায় ২০-৩০ জনের কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং বাধ্যতামূলক করতে হবে সরকারকে। পাশাপাশি যে ৮০-৮৫% আক্রান্ত গৃহে নজরবন্দি রয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে তাঁদের পর্যবেক্ষণ করাটাও অভ্যাসের মধ্যে আনতে হবে মহারাষ্ট্র প্রশাসনকে, নির্দেশ কেন্দ্রের। নব স্ট্রেনের জোয়ারে যেভাবে মহারাষ্ট্রে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, তাতে সম্পূর্ণ লকডাউনের চিন্তাভাবনাও যে চলছে, তা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
নাগরিকদের কাছে সহযোগিতার আর্জি
করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণ হিসেবে ইতিপূর্বে নাগরিকদের অসচেতনতাকেই দায়ী করেছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। যদিও কোভিড রুখতে সেই নাগরিকদের কাছেই সহযোগিতার আর্জি জানালেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপ। পাশাপাশি মারণব্যাধির সংক্রমণ রুখতে বাসস্টপ, রেলওয়ে স্টেশন সহ অন্যান্য জনবহুল স্থানে কোভিড কিটের মাধ্যমে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার ভাবনাও মহারাষ্ট্র প্রশাসনকে বাতলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
গত একমাস ধরে আক্রান্তের সংখ্যায় জোয়ার
মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, গত একমাস ধরে প্রত্যহ আক্রান্তের নিরিখে বানভাসি নাগপুর। স্বাভাবিকভাবেই ১৫ই থেকে ২১শে মার্চ পর্যন্ত নাগপুরে কড়া লকডাউন জারি করেছে প্রশাসন। লকডাউনের সময়ে সকল বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকলেও ২৫% কর্মক্ষমতা নিয়ে চালু থাকবে সরকারি কার্যক্ষেত্রগুলি। পাশাপাশি অন্যান্য জরুরি পরিষেবা অফলাইনে চালু থাকলেও মদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে যে অনলাইন ব্যবস্থার উপরেই নির্ভর করতে হবে নাগরিকদের, তা স্পষ্ট জানিয়েছে শিবসেনা প্রশাসন।