উন্নত বাংলার জন্য লড়াই
টুইটে স্বপন দাশগুপ্ত বলেছেন, তিনি উন্নত বাংলার লড়াইয়ে সামিল হতেই ইস্তফা দিয়েছেন। এদিনই তিনি রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তিনি তারকেশ্বর থেকে মনোনয়ন দাখিল করতে চলেছেন বলেও জানিয়েছেন।
বিজেপির প্রার্থী তালিকায় স্বপন দাশগুপ্ত
বিজেপির দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকায় স্বপন দাশগুপ্তের নাম রেখেছে বিজেপি। তাঁকে হুগলি জেলার তারকেশ্বর থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। সব মিলিয়ে চার সাংসদকে বিধানসভায় এখনও পর্যন্ত প্রার্থী করা হয়েছে। এঁদেন মধ্যে রয়েছেন আসানসোলের বাবুল সুপ্রিয় টালিগঞ্জ থেকে, হুগলির লকেট চট্টোপাধ্যায় চুঁচুড়া থেকে এবং কোচবিহারের নিশীথ প্রামাণিককে দিনহাটা ছেকে প্রার্থী করা হয়েছে।
প্রথমে তৃণমূলের তরফে আপত্তি
বিজেপির প্রার্থী তালিকায় স্বপন দাশগুপ্তের নাম প্রকাশের পরেই তৃণমূলের তরফে আপত্তি করা হয়। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, স্বপন দাশগুপ্ত বিজেপির হয়ে মনোনয়ন দাখিল করলে, তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করা হোক। টুইটে মহুয়া বলেন, স্বপন দাশগুপ্ত পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপির প্রার্থী। সংবিধানের দশম তপশিল অনুযায়ী, একজন মনোনীত রাজ্যসভার সদস্য যদি তাঁর শপথ নেওয়ার ছয়মাসে পরে কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেন, তাহলে অযোগ্য ঘোষণা করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে স্বপন দাশগুপ্ত শপথ নিয়েছিলেন ২০১৬-র এপ্রিলে। ফলে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে এখনই অযোগ্য বলে ঘোষাণা করা হোক। তবে তৃণমূল অভিযোগ তোলার পরেই স্বপন দাশগুপ্ত জানিয়েছিলেন, মনোনয়নের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।
ব্যাখ্যা দাবি করেছিল কংগ্রেসও
এদিকে কংগ্রেসের তরফে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে চিঠি দিয়ে কংগ্রেস স্বপন দাশগুপ্তকে নিয়ে ব্যাখ্যা দাবি করে। রাজ্যসভায় সব থেকে বড় বিরোধী দল কংগ্রেসের চিফ হুইপ জয়রাম রমেশ বলেন, স্বপন দাশগুপ্ত যেমন রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দেননি, তেমনই কোনও দলেও যএাগদান করেননি। তবে তাঁর নাম বিজেপির প্রার্থী তালিকায় প্রকাশ করা হয়েছে।