গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার হুমকি
প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ অব্যাহত। সোমবারের পর মঙ্গলবারও হেস্টিংসের বিজেপি দফতরে বিক্ষোভ চলছে দলীয় কর্মীদের। এ দিন তা আরও চরম আকার ধারণ করেছে বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি কর্মীদের দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রার্থী বদল করা হচ্ছে আন্দোলন চলবে। আর এর মধ্যেই গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেন এক বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। শুধু কলকাতায় নয়, জেলায়-জেলায় স্পষ্ট অন্তর্কলহের ছবি। নির্বাচনের আগে এই ছবিতে স্বাভাবিকভাবেই বিপাকে বঙ্গ বিজেপি। আর সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার আসরে নামতে হল খোদ অমিত শাহ, জেপি নাড্ডার মতো কেন্দ্রীয় হেভিওয়েট নেতাদের।
অসমে গিয়েও শাহ ফিরলেন কলকাতায়
সোমবার দিনের শুরুতে ছিল হেলিকপ্টার বিভ্রাট। অমিত শাহ ঝাড়গ্রামের সভা হাজির হতে না পারলেও ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন। তারপর দেরি হলেও বাঁকুড়ার রানিবাঁধে পৌঁছন। সেখানে উপস্থিত জনতার কাছে দেরি পৌঁছনোর জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। এরপর পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই তিনি চলে যান অসমে। সেখানে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন এমন কী জনসভায় ভাষণও দেন। সেখান থেকে তাঁর দিল্লি ফিলে যাওয়ার কথা থাকলেও, পশ্চিমবঙ্গে দলের পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই সূচি বদলে যায়। তিনি রাতে কলকাতায় ফেরেন।
রাতে কলকাতায় জরুরি বৈঠক
কলকাতায় ফিরেই পাঁচতারা হোটেলে জরুরি বৈঠক করেন অমিত শাহ। তারই মধ্যেই কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনিও ওই বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে অংশ নেন রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির নেতারা। সূত্রের খবর অনুযায়ী বৈঠকে উঠে আসে প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিক্ষোভের কথা। বৈঠকে ভোটের প্রস্তুতি ছাড়াও প্রচারের রূপরেখাও ঠিক করে দেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা। এরপর এদিন ভোরেই তিনি দিল্লি ফিরে যান।
প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভের কথা জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে
কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে শিবপ্রকাশ, মুকুল রায়ের মতো কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে। অর্জুন সিং জানিয়েছেন, যেসব জায়গার কর্মীরা প্রার্থী নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তার রিপোর্ট বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠানা হয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি-সহ একাধিক আসন এবং হুগলির উত্তরপাড়া-সহ একাধিক আসনের প্রার্থী নিয়ে বিক্ষোভ দেখান সেখানকার স্থানীয় বিজেপি-নেতা-কর্মীরা। এরা সবাই এলাকায় আদি বিজেপি বলেই পরিচিত।