পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের মুখেই পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর মুখ্য পরমার্শদাতা পি কে সিনহা। সোমবারই তাঁর কার্যলয়ের তরফে এই বরিষ্ঠ আমলার পদত্যাগের কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে ঠিক কি কারণে তাঁর এই সিদ্ধান্ত সেই বিষয়ে এখনও খোলসা করে কিছু বলা হয়নি। আর ঠিক এখানেই ঘনাচ্ছে রহস্য। মার্চের ১৫ তারিখ থেকেই পি কে সিনহা তাঁর কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরই দফতরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক উচ্চ পদস্থ সরকারি আধিকারিক।
পিকে সিনহা আদপে উত্তরপ্রদেশ ক্যাডারের ১৯৭৭ ব্যাচের আইএএস কর্মকর্তা হিসাবে কাজে যোগ দেন বলে জানা যায়। মোদী সরকারের প্রথম জমানায় তিনি অজিত শেঠের পরবর্তী সময়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্বও পালন করেছিলেন বলে জানা যায়। এর আগে তিনি বিদ্যুৎ ও নৌ পরিবহন মন্ত্রকেরও সচিবের দায়িত্ব সামলেছেন। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে তিনি যখন অবসর গ্রহণ করেন, তখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) 'অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি’ হিসাবে তাঁর জন্য একটি বিশেষ পোস্ট তৈরি করা হয় বলেও জানা যায়।
এদিকে নৃপেন্দ্র মিশ্র প্রধানমন্ত্রীর দফতর ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে পিকে সিনহাই প্রধান উপদেষ্টা নিযুক্ত হন। এদিকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের আদেশ অনুসারে তিনি নীতিগত বিষয় এবং সমস্ত মন্ত্রk, বিভাগ, সংস্থা এবং সংস্থাগুলির বিষয়ে তদারকি করেছিলেন। কিন্তু আচমকা তাঁর এই পদত্যাগের পিছনে কোনও রাজনৈতিক চাপ বা বিভাগীয় সমস্যা রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। অন্যদিকে তাঁর এই পদত্যাগের পর সরকারের তরফে এখনও অফিসিয়ালি কোনও মন্তব্যও করা হয়নি।
জনগনের কাছে শ্মশান তৈরির টাকা চাইবেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি