মেদিনীপুর : বিধানসভা নির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চার তরফে তো বটেই রাজ্যের অন্যতম হেভিওয়েট প্রার্থী সুশান্ত ঘোষের মনোনয়ন জমা দেওয়ার মিছিল থেকে আওয়াজ সুশান্ত দা এসেছে…।
পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী কেন্দ্র থেকে সিপিআরএম নেতা, প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ সংযুক্ত মোর্চার তরফে প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতা করছেন। তিনিই প্রথম দফা নির্বাচনে সুপার হেভিওয়েট প্রার্থী।
সংযুক্ত মোর্চার তরফে সুশান্ত ঘোষকে এবার গড়বেতা কেন্দ্র দেওয়া হয়নি। যদিও বাম জমানার ৩৪ বছরের মধ্যে ৩২ বছর তিনি গড়বেতার বিধায়ক ছিলেন। বাম জমানার পতন বছর ২০১১ সালেও বিজয়ী হন। পরে তাঁর বিরুদ্ধে বেনাচাপড়া কংকাল কাণ্ড মামলা হয়। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর গতবছর ডিসেম্বর মাসে নিজ জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা টাউনে ফিরেছেন সুশান্ত ঘোষ।
প্রত্যাবর্তনের পরেই সুশান্তবাবুর লাগাতার জনসংযোগ ও হুঁশিয়ারির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। কোনও বাম সমর্থক বা সাধারণ গ্রামবাসীর উপর হামলা হলে পাল্টা মারের নিদান দিয়ে ভোটের হাওয়া গরম করেছেন সুশান্ত ঘোষ।
সুশান্ত এফেক্ট- এই একটি বার্তা এখন জঙ্গলমহলের দুই জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম ছাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত এলাকাতেও ছড়িয়েছে। নির্বাচনের প্রক্রিয়া যত এগিয়েছে, ততই সুশান্তবাবুর প্রচার রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন ফেলেছে। গড়বেতা, শালবনী, ছাড়িয়ে রাজ্য জুড়েই আলোচিত তিনি।
তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা, সুশান্ত ঘোষের জনসভা হোক বা গ্রামে ঢুকে প্রচার, সর্বত্র জনসমাগম দেখা যাচ্ছে। যে বেনাচাপড়া গ্রামের কংকাল কাণ্ডে তিনি জড়িয়েছিলেন সেখানেও পুষ্পবৃষ্টির মধ্যে তাঁকে বরণ করা হয়। এলাকাগুলিতে গত দশ বছরে সিপিআইএম ছিল নিশ্চিহ্ন।
মেদিনীপুর জেলা বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, যে এলাকায় বামেরা উড়ে গিয়েছিল, সেখানে এখন পার্টি অফিস পুনর্দখল করছেন সুশান্ত ঘোষ। খোদ প্রাক্তন মন্ত্রী যে শক্ত প্রতিপক্ষ তা ঠারে ঠোরে স্বীকার করছেন তৃণমূল নেতারা।
সুশান্ত ঘোষের স্পষ্ট দাবি, ভোটের লড়াই করো, মারধর করতে এলে’ ঠ্যাং ভেঙে দেওয়া হবে’। এই ধরণের গরম গরম দাবিতে বাম শিবির চাঙ্গা। সংযুক্ত মোর্চার গঠন জমাট বেধেছে, সেই সমীকরণ তুল্যমূল্য আলোচনায়। বাম ও তাদের বিরোধী দুই শিবিরেই ‘সুশান্ত এফেক্ট’ এখন জঙ্গলমহলের চালু কথা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.