কোনাক্রি: ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হল কমপক্ষে ২০ জনের। আহতের সংখ্যা প্রায় পাঁচ শতাধিক। ভয়ঙ্কর এই দূর্ঘটনা ঘটেছে আফ্রিকার এক দেশ গুয়েনিয়াতে।

জানা গিয়েছে, গুয়েনিয়ার বাটা শহরের একটি মিলিটারি ক্যাম্পে পর পর বিস্ফোরণ ঘটে। ঠিক কী কারণে এই বিস্ফোরণ হয়েছে, তা এখন পরিষ্কার না। তবে মনে করা হচ্ছে, অসাবধানতাবশত এই ভয়াবহ দূর্ঘটনা ঘটে।

টিভিজিই চ্যানেলের তরফে সামনে আনা ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ভয়াবহ আগুনের শিখা গ্রাস করেছে বিল্ডিংকে। কালো ঘন ধোঁয়া আকাশ ছেয়ে যায় কিছুক্ষণের মধ্যে। যা দেখে আঁতকে উঠেছে নেটিজেনরা।

ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে বের করা হয় শিশু সহ প্রাপ্তবয়স্কদের। বাটা শহরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। কিন্তু সেখানেও কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বিপুল সংখ্যক মানুষকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বহু রোগীকেই মেঝেতে শুয়ে রাখা হয়। চিকিতসক-বেড সবকিছুইতেই ঘাটতি দেখা যায়।

পরিস্থিতি যে কতটা ভয়াবহ, তার ইঙ্গিত মিলতে পারে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে করা একটি টুইট থেকে। টুইটে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, বহু বাসিন্দা এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকতে পারে।

সে দেশের প্রেসিডেন্ট ন্যাগমা জানিয়েছেন, স্থানীয় কৃষকেরা আগুন জ্বালিয়েছিলেন, কিন্তু সেটা মিলিটারি ক্যাম্পের বিস্ফোরক অবধি পৌঁছে যেতেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। পাশাপাশি তিনি বলেন, যারা ডিনামাইট ও গোলাবারুদ সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকেন, সেই ইউনিটের গাফিলতির জেরেই এই দূর্ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনার পড়ে প্রতিরক্ষার তরফে জানানো হয়েছে, এই দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২০ জনের। আহতের সংখ্যা ৬০০ -এর কাছাকাছি। উল্লেখ্য, এই বাটা শহর গুয়েনিয়ার অন্যতম বড় শহর। দেশের মোট ১.৪ মিলিয়নের মধ্যে ৮ লক্ষ মানুষ শুধু এই শহরেই বাস করেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই আবার দরিদ্র। ফলে এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের পড়ে আতঙ্কে সেখানকার মানুষজন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।