সুন্দর এগিয়ে
ওয়াশিংটন সুন্দরের সঙ্গে নিজের তুলনা টেনে সুন্দরকেই এগিয়ে রাখলেন কোচ রবি শাস্ত্রী। তিনি বলেন, আমার চেয়েও সুন্দরের সহজাত দক্ষতা অনেক বেশি। তামিলনাড়ু দলে সুন্দরকে প্রথম চারে ব্যাট করানো উচিত। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতে ভারতীয় দলকে নির্ভরতা দিতে পারে সুন্দর। ব্যাট হাতে ৬০-৭০ রান করার পর বল হাতে উইকেট তুলে নিতে পারলে ছয় নম্বরে সুন্দর একজন ভালো অলরাউন্ডার হিসেবে জায়গা পাকা করতে পারবে। আমার চেয়েও ভালো কিছু করার ক্ষমতা সুন্দরের রয়েছে। ব্রিসবেন ও মোতেরায় বিশ্বের তাবড় নামি বোলারদের বিরুদ্ধেও যে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ধরে রেখে যে টেম্পারামেন্ট দেখিয়ে সুন্দর ব্যাটিং করেছেন তাতে খুব খুশি ভারতীয় দলের কোচ।
ফিয়ারলেস ক্রিকেট
ব্রিসবেনের চেয়ে গতকালের ইনিংসকে এগিয়ে রাখার কারণ হিসেবে শাস্ত্রী জানান, পন্থের সঙ্গে যখন সুন্দর খেলতে শুরু করেছিল তখনও আমরা ৫০-এর বেশি রানে পিছিয়ে। পরে অক্ষর ছিল ঠিকই। কিন্তু ২০৫ রানের কাছাকাছি পৌঁছানো লক্ষ্য ছিল। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের যোগ্যতা অর্জনের চাপটাও ছিল। সবমিলিয়ে এই পরিস্থিতে থেকে ভারতকে যে ১৬০ রানের লিড এনে দিতে সুন্দর অন্যতম বড় ভূমিকা নিয়েছেন সে কারণেই এই ইনিংসটিকে ব্রিসবেনের থেকে এগিয়ে রাখলেন শাস্ত্রী। তরুণ ক্রিকেটারদের ফিয়ারলেস ক্রিকেটের প্রশংসা করে রবি শাস্ত্রী বলেন, এই দলের তরুণ ক্রিকেটাররা বেশি কিছু ভেবে নিজেদের উপর চাপ নেন না। তাঁরা স্বাভাবিক এবং নির্ভীক খেলা খেলেন। সে কারণেই আমরা গতকাল অতটা লিড নিতে পেরেছি।
ফিল্ডিং নিয়ে
প্রথম টেস্টে বেশ কিছু ক্যাচ ফেলার পর ভারতের ফিল্ডিং ক্রমাগত উন্নত হয়েছে। ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরের প্রশংসা করে শাস্ত্রী বলেন, গত পাঁচ মাস ধরে জৈব সুরক্ষা বলয়ে আছে গোটা দল। আটটি টেস্ট খেলেছে ৭০ দিনে। আমার কোচিংয়ে এই সময়কালে এতো বেশি টেস্ট এই প্রথম। তার উপর প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। ফলে মানসিক ক্লান্তি আসতেই পারে। সে কারণেই ক্যাচ পড়ে। শুধু আমরাই ক্যাচ ফেলিনি, অস্ট্রেলিয়াও ফেলেছে। তবে ম্যাচ জিততে যে ক্যাচগুলি ধরা দরকার তা কিন্তু আমাদের ক্রিকেটাররা ধরেছেন। আমাদের ফিল্ডিং কোচ বিশ্বের সেরা।
অতুলনীয় পন্থ
পন্থের সঙ্গে নিজের তুলনা টেনে রবি শাস্ত্রী বলেন, ২১ বছর বয়সে পন্থের মতো আমারও এমন সাফল্য ছিল। তাই আমি দলের ক্রিকেটারদের বুঝতে পারি ভালোভাবেই। আইপিএলের পরেও পন্থ যেভাবে সকলের চেয়ে বেশি কঠোর পরিশ্রম করেছে, তার ফল সকলের সামনেই। গোটা বিশ্ব তা দেখছে। এমন একজন ম্যাচ উইনার যখন তাঁর দক্ষতার পূর্ণ প্রকাশ ঘটায় তখন দলের কাছে তার চেয়ে বড় কিছু হয় না। গত দুই মাসে পন্থ যা করেছে, আমার মনে হয় সারা জীবনে কেউ তা করতে পারেনি। পন্থের কিপিংও দুর্দান্ত।
বায়ো বাবলে উপকৃত দল
জৈব সুরক্ষা বলয়ে কঠোর বিধিনিষেধে থাকতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। চোট, মানসিক ক্লান্তির কথা ভেবে জৈব সুরক্ষা বলয়ে অতিরিক্ত ক্রিকেটার রাখার অনুমতি মিলেছে। দলের কাছে এটা আশীর্বাদ হয়েছে বলে দাবি কোচ শাস্ত্রীর। তিনি বলেন, সেরা ৩০ জন ক্রিকেটার বেছে নেওয়া সহজ নয়। তবে আমাদের পক্ষে নতুন নিয়ম ভালো হয়েছে। গত ৬ মাসে যে সংখ্যক ক্রিকেটার জাতীয় দলের খেলেছেন তা ভাবা যায় না। নটরাজন বা সুন্দরদের ৬ মাস আগে কেউই টেস্ট দলে ভাবেননি। কিন্তু পরিস্থিতি তার বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে। আমি খুশি যেভাবে তরুণ ক্রিকেটাররা সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে। তাঁদের ভয়ডরহীন ক্রিকেট তারিফ আদায় করে নিয়েছে ভারতীয় কোচের।