নয়াদিল্লি : দেশ জুড়ে মাস ভ্যাকসিনেশন চলছে। ধাপে ধাপে করোনা টিকা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এবার করোনা ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প (COVID-19 vaccination centre) খুলল সংসদ চত্বরেই (Parliament complex)। সমস্ত করোনা বিধি মেনে ক্যাম্প খোলা হয়েছে। লোকসভা বুলেটিনে বলা হয়েছে, সাংসদদের (eligible MPs) স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই ক্যাম্প করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীরা এখানে কাজ করবেন।
সাংসদদের শারীরিক পরিস্থিতি বিচার করা পরেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ৯ই মার্চ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে চালু হবে পার্লামেন্ট হাউস মেডিক্যাল সেন্টারে তৈরি করা করোনা টিকাকরণ ক্যাম্প (vaccination centre set up in Parliament)। শনি রবি ও সরকারি ছুটির দিন বাদ দিয়ে সব দিনেই এখানে কাজ চলবে।
৮ই মার্চ থেকে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দফা চালু হতে চলছে। সেই দিকে তাকিয়েই এই সিদ্ধান্ত বলে খবর। সাংসদদের পরিবারের সদস্যরাও এই ক্যাম্প থেকে ভ্যাকসিন পাবেন। করোনা পরিস্থিতি বিচার করে রাজ্যসভার অধিবেশনের সময় নির্ধারিত হয়েছে সকাল ৯টা থেকে ২টো। অন্যদিকে লোকসভার অধিবেশনের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে বেলা ৪টে থেকে ১০টা পর্যন্ত।
জানানো হয়েছে, যেসব সাংসদের বয়স ৬০ বছরের উর্দ্ধে, তারাই আপাতত ভ্যাকসিন পাবেন। সংসদ সূত্রে খবর, বর্তমানে ৩৬ শতাংশ লোকসভা সাংসদের বয়স ও ৬২ শতাংশ রাজ্যসভার সাংসদের বয়স ষাটের ওপরে।
করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে টিকাকরণ অভিযান। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যা অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত দেশের ১ কোটি ২৪ লক্ষ ২৭ হাজার ৭০৪ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়। টিকাকরণের প্রথম পর্বে দেশের ৩ কোটি ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারকে টিকা দেওয়া হয়। এই পর্বে চিকিৎসক, নার্স-সহ সব স্বাস্থ্যকর্মী ও দেশের নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের টিকা দেওয়া হয়েছে।
দিন কয়েক আগে থেকেই দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে করোনার দ্বিতীয় পর্বের টিকাকরণ অভিযান। টিকাকরণের এই পর্বে ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ নাগরিক ও ৪৫ বছরের উপরের বয়সী যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে তাঁদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। কলকাতা শহরেও টিকাকরণ কেন্দ্র চালু রয়েছে। দ্বিতীয় পর্বের টিকাকরণে যাঁরা বিবেচিত হচ্ছেন তাঁদের টিকাকেন্দ্র থেকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। কলকাতা শহর ছাড়া জেলাগুলিতেও একইভাবে চালু করা হয়েছে টিকাকরণ কেন্দ্র।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.