পাঁচ লক্ষ সরকারি পদ খালি রয়েছে
ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে এদিন অর্জুন সিং বলেন, এই সরকারকে উৎখাত করে ফেলতে হবে। এই সরকার ভাঁওতাবাজির সরকার বলে দাবি তাঁর। দিনের পর দিন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলছে বলে দাবি সাংসদের। তবে এবার আর তা হবে না বলেই মনে করেন তিনি। অর্জুন সিংয়ের দাবি, মেলা-উৎসব কিছুই বাদ যাচ্ছে না। কিন্তু চাকরি হচ্ছে না। বাংলায় বেকারত্ব বাড়ছে। সাংসদের দাবি, সাড়ে পাঁচ লক্ষ সরকারি পদ খালি রয়েছে। কিন্তু মমতা-সরকার সেই শূন্যপদ পূরণ করছে না। আর তা পুরণ করলে একধাক্কায় অনেকটাই বাংলায় বেকারত্বের হার কমে যেত বলে দাবি তাঁর।
সরকারি কর্মীরা উপক্ষিত
বাংলায় রাজ্য সরকারি কর্মীরা উপেক্ষিত। এমনটাই মনে করেন অর্জুন সিং। তাঁর মতে, সরকারি কর্মীদের অধিকার খর্ব করেছে তৃণমূল সরকার। চাকরি নেই, ডিএ চাইলে মমতা বলেন ঘেউ ঘেউ করবেন না। ঘুষ না দিলে সরকারি অফিসে কোনও কাজ হয় না। এমন বাংলাই কি আমরা চেয়েছিলাম, প্রশ্ন সাংসদের। এবার তাই পরিবর্তনের পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মন্তব্য অর্জুন সিংয়ের
মমতার সরকার, কাটমানির সরকার।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার না কাটমানির সরকার! বাংলায় কাটমানি ছাড়া কিছুই হয় না। সরকারি কাজ করতে চাও তো টাকা দাও। রাস্তা করবে কাটমানি, বাড়ি বানাবে কাটমানি! বাংলায় যা করবে তাতেই কাটমাণি দরকার বলে দাবি বিজেপি সাংসদের। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি চালাচ্ছেন মমতা। মঞ্চ থেকে বিস্ফোরক অভিযোগ। সাংসদের দাবি, স্বাস্থ্য সাথীর নামে ভাঁওতাবাজি করছে মমতা সরকার। এ জন্য সবাইকে টাকা দিতে গেলে রাজ্য বাজেট ছাপিয়ে যাবে। তাঁর আরও দাবি, ‘বাংলায় ভাতা আর ভাঁওতার সরকার চলছে। ২ মে ভোটের ফলের আগে বাংলা ছেড়ে পালাবেন পিসি-ভাইপো।
ব্রিগেডের মঞ্চ মেলাল দিনেশ-অর্জুনকে
গত লোকসভা নির্বাচনে বারাকপুর লোকসভা আসন তৃণমূল নেত্রী অর্জুন সিংকে না ছাড়ার জন্যে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। অর্জুন সিংয়ের বিপরীতে দাঁড়ান তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। বারাকপুর লোকসভা আসনে হারেন দীনেশ। এরপর থেকে যদিও দুজনের কথাবার্তা নেই। গত কয়েকদিন আগে তৃণমূল ছাড়েন দীনেশ ত্রিবেদী। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তাঁকে ফোন করেন অর্জুন। এরপর আজ ব্রিগেডের মঞ্চ আসেন দীনেশ। আর তা দেখেই আপ্লুত অর্জুন। জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, দেখিয়ে মেরা দীনেশজি আয় গ্যায়া...! এরপরেই মঞ্চেই দীনেশকে জড়িয়ে ধরেন অর্জুন।