কলকাতা২৪x৭: জেলা মালদহে কংগ্রেসের শক্তি নিয়ে প্রদেশ নেতৃত্বের বুক এখনও চওড়া হয়। হাজার হোক গনি খানের ছায়াটা রয়ে গিয়েছে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস? দলীয় কোন্দলের বিরাট ধাক্কা শুধু মালদহ নয় গোটা রাজ্যেই চরম। এই অবস্থায় রাজ্যের অন্যতম নজরকাড়া কেন্দ্রের ততোধিক নজরকাড়া তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী আছেন ভোটে।

আর কৃষ্ণেন্দুবাবুকে তাড়া করছে তৃণমূলের কোন্দল। সেই সঙ্গে কংগ্রেস ও বামেদের সঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকীর জোট শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইও আছে। বিধানসভায় পৌঁছতে গেলে কৃষ্ণেন্দুবাবুর অবলম্বন দলীয় সংগঠনের বুথ ভিত্তিক অবস্থান।

তবে সব থেকে বড় ধাক্কা লাগছে তৃণমূল থেকে বিজেপির দিকে যাওয়ার প্রবণতা। জেলা তৃণমূলেরই অনেকে পা বাড়িয়ে রেখেছেন, দাবি বিজেপির। আর কংগ্রেসের বক্তব্য, একবার সাধিতে হইবে নাকি! প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী তো অনেক আগেই বার্তা দিয়ে রেখেছেন, যারা তৃণমূল থেকে আসতে চনা দরজা খোলা। অর্থাত, কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর মতো নেতাকে নিতেও কোনও আপত্তি নেই প্রদেশ নেতাদের।

কিন্তু কৃষ্ণেন্দুবাবু এখনও তৃণমূলে। তিনি দলনেত্রীর পছন্দ অনুযায়ী ইংলিশবাজার থেকেই লড়বেন। অথচ কৃষ্ণেন্দুবাবুর সেই বিতর্কিত মন্তব্য তাড়া করছে পুরো দলকেই। ২০১৬ সালে তিনিই বলেছিলেন, ভোট চাইতে গেলে “মানুষ জুতো পেটা করবেন”। বিরাট বিতর্ক ছড়ায় এতে। দলীয় অন্তর্কলহ ও তৃণমূলের আমলে ইংলিশবাজার পুরসভার দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বিস্ফোরক কৃষ্ণেন্দুবাবুর শিবিরের চিন্তা সেই মন্তব্যের ধাক্কা আসবেই।

হেভিওয়েট প্রার্থী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। ভোটের রাজনীতি তাঁর কাছে নতুন কিছু নয়। তবে জেলা কংগ্রেস ও সিপিআইএম ও বিজেপি নেতাদের দাবি, তৃণমূলের এলাকাভিত্তিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ধাক্কা সামলে মহাজোট ও বিজেপির দ্বিমুখী আক্রমণের মুখে দুর্গ রক্ষায় প্রায় একলা কৃষ্ণেন্দুবাবু।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কৃষ্ণেন্দুবাবু বারবার চমক দিয়েছেন। শক্তি পরীক্ষা মুচকি হাসি হেসেছেন। মহানন্দার তীরে তিনি আবারও ভোট রণভূমিতে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম সেনাপতি।

গত লোকসভা নির্বাচনে মালদহের ফলে তৃণমূলে নেমেছিল আঁধার। কংগ্রেস অবস্য একটিতে শক্তি বজায় রাখে। আর একটিতে পদ্ম ফুটেছে। দুটি আসনের একটিও দখলে আনতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর পুর নির্বাচনে ইংলিশবাজার কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিতর্ক ছিল কৃষ্ণেন্দুবাবুর সেই মানুষ জুতো পেটা করবে মন্তব্য।

ইংলিশবাজার বিধানসভা ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসের দখলে ছিল। ১৯৬৯ সাল থেকে টানা বাইশ বছর ছিল বামেদের দখলে। প্রথমে সিপিআই পরে সিপিআইএম ধরে রেখেছিল এই বিধানসভা। ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের দখলে গেলেও ২০০১ সালে আবার বামেরা পুনর্দখল করে। ২০০৬ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস ফিরে আসে এই বিধানসভায়। প্রথমে কংগ্রেসের হয়ে কৃষ্ণেন্দুবাবু জয়ী হন, পরে তিনি দল পাল্টে তৃণমূল হন। ২০১৩ সালের উপনির্বাচনে ফের কৃষ্ণেন্দু চমক দেখে ইংলিশবাজার। ২০১৬ বিধানসভার নির্বাচনে তাঁর রাজত্ব শেষ হয়। বিরোধী গোষ্ঠীর হাতে চলে যায় বিধানসভাটি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।