শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই ক্ষুব্ধ
শুক্রবার তৃণমূলের তরফে ২৯৪ টি আশনের মধ্যে পাহাড়ের তিনটি আসন বাদ দিয়ে ২৯১ টি আসনের জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। তারপর থেকেই জায়গায় জায়গায় তৃণমূলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ চড়েছে। টিকিট না পেয়ে সুর চড়িয়েছেন অনেকেই। অনেকেই ইতিমধ্যে বিরোধী শিবিরে যোগ দিয়েছেন। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হলেন শিলিগুড়ির নান্টু পাল। প্রার্তী তালিকা ঘোষণার পরেই তিনি বলেছিলেন, শহরের কাউকে প্রার্থী করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেছিলেন তাঁরা। যে ব্যক্তি কিছুদিন আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করতেন, তাঁর প্রার্থী হওয়াকে মেনে নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছিলেন নান্টু পাল।
বাগে আনতে পারেনি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব
শুক্রবারই নান্টু পাল জানিয়েছিলেন, তিনি কিছুতেই বহিরাগত ওমপ্রকাশ মিশ্রকে শিলিগুড়ির প্রার্থী হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না। রবিবার শিলিগুড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচির আগেই নান্টু পালকে বাগে আনতে উদ্যোগী হয়েছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁকে নিয়ে বৈঠকেও বসেছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। যদিও তাতেও কোনও ফল পাওয়া যায়নি।
মমতার কর্মসূচির মধ্যেই দল ছাড়ার কথা ঘোষণা
শিলিগুড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবা। মোদী সরকারকে আক্রমণ। এইসব কিছুর মধ্যেই তাল কাটল নান্টু পালের দলত্যাগের ঘোষণা। এদিন তৃণমূলের শিলিগুড়ি বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান নান্টু পাল জানিয়ে দেন, তিনি আর তৃণমূলে থাকছেন না। সঙ্গে তাঁর স্ত্রীও দল ছাড়ছেন বলে জানিয়ে দেন তিনি। প্রসঙ্গ নান্টু পাল এবং তাঁর স্ত্রী দুজনেই শিলিগুড়ি পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর।
নির্দল প্রার্থী হবেন
নান্টু পাল এদিন ঘোষণা করেছেন শিলিগুড়ি কেন্দ্র থেকে তিনি নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। রাজনৈতিক মহলের অভিমত এতে সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্যের জয়ের রাস্তা আরও পরিষ্কার হবে। কেননা তৃণমূল যখন 'বহিরাগত' ওমপ্রকাশ মিশ্রকে শিলিগুড়িতে প্রার্থী করেন, তখনই এই আসনটা সিপিএম-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়, বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। তৃণমূলের এই অংশের নেতারা বলছেন, তারা আশা করেছিলেন কোনও ভূমিপুত্রকে এই আসন থেকে প্রার্থী করা হবে, আশা করেছিলেন তাঁরা। ২০১৬ সালে অশোক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়া বাইচুর ভূটিয়া অশোক ভট্টাচার্যের হয়ে কার্যত প্রচার শুরু করে দিয়েছেন।