নয়াদিল্লি: যত দ্রুত সম্ভব দেশে ১০ হাজার জনৌষধী কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা করেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। গরীব ও মধ্যবিত্তরা যাতে সহজে মেডিক্যাল সাহায্য পায় তার জন্যই এই পরিকল্পনা। এর ফলে দরিদ্র ও মধ্যবিত্তরা বছরে ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বাঁচাতে পারবে। কেন্দ্রে এই পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই বাস্তবায়িত হতে শুরু করেছে।
সম্প্রতি দেশের ৭৫০০তম জনৌষধী কেন্দ্র উদ্বোধন হল শিলংয়ে। North Eastern Indira Gandhi Regional Institute of Health and Medical Sciences (NEIGRIHMS)-এ ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটি প্রমাণ করে উত্তর পূর্ব ভারতে কীভাবে পাব্লিক হেল্থ সেন্টার প্রসার লাভ করছে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত এখানে ১০০টিরও কম জনৌষধী কেন্দ্র ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার ১০ হাজারটি জনৌষধী কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা করেছে। স্বাধীনতার ৭৫ তম বছরে প্রতি রাজ্যের জেলায় জেলায় জনৌষধী কেন্দ্র খোলার আবেদন করেন তিনি।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী বলেন, “ওষুধ দামী। তাই আমরা দরিদ্রদের জন্য পিএম জনৌষধী যোজনা এনেছি। এর ফলে তারা টাকা বাঁচাতে পারবে। আমি মানুষের কাছে অনুরোধ করছি তারা যেন মোদী কি দুকান থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে ওষুধ কেনেন।” এরপরই প্রধানমন্ত্রী জানান এই দোকানে মহিলাদের জন্য স্যানিটারি প্যাড পাওয়া যাবে মাত্র ২.৫ টাকায়। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, এই যোজনা দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের ‘সেবা ও রোজগার’-এর দিকে নজর দেবে। এর ফলে যুবকদের কর্মসংস্থান হবে। দেশের জনৌষধী কেন্দ্রগুলিতে ৭৫ টি আয়ুষ ওষুধ পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
এখনও পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭ হাজার ৪৯৯টি জনৌষধী কেন্দ্র কাজ শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী অফিসের তরফে জানানো হয়েছে ১ মার্চ থেকে ৭ মার্চ, গোটা সপ্তাহ ধরে এই জনৌষধী যোজনা নিয়ে প্রচার চালানো হবে। সপ্তাহটিকে জনৌষধী সপ্তাহ নামে অভিহিত করা হয়েছে। এর থিম ‘জন ঔষধী- সেবা ভি রোজগার ভি।’ সপ্তাহের শেষ দিনটি ‘জনৌষধী দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.