নয়াদিল্লি: নিজের জীবদ্দশায় তিনি স্প্যানিশ ফ্লু দেখেছেন। দেখেছেন করোনাও। কিন্তু দুই মারণ রোগই তাঁকে কাবু করতে পারেনি। দুই রোগকেই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিব্যি দিন কাটাচ্ছেন তিনি। আর এবার তো তিনি করোনা টিকাও নিলেন।

ওই ব্যক্তির নাম তুলসী দাস চাওলা। বয়স ১০৪ বছর। ১৯১৭ সালের নভেম্বরে জন্মেছিলেন তিনি। তার ঠিক এক বছর পরই শুরু হয় স্প্যানিশ ফ্লু। শনিবার তিনি এক প্রাইভেট হাসপাতালে কোভিশিল্ডের ডোজ নিলেন। তুলসী বাবু ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে চাকরি করতেন। ১৯৭৫ সালে অবসর নেন তিনি। এদিন ফুল স্লিভ ভি নেক টি শার্ট পরে ভ্যাকসিন নিতে এসেছিলেন তিনি। টিকা নেওয়ার পর ভিকট্রি সাইন দেখান। তিনি বলেন, “আমি সবাইকে অনুরোধ করছি যারা করোনা টিকা নেওয়ার যোগ্য তাঁরা অবশ্যই এগিয়ে এসে করোনা টিকা নিন। এটা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।” হাসপাতাল তরফে দাবি করা হয়েছে ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ নিরাপদ। তুলসীবাবু সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন।

করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে টিকাকরণ অভিযান। টিকাকরণের এই পর্বে ষাটের্ধ্ব প্রবীণ নাগরিক ও ৪৫ বছরের উপরে থাকা ব্যক্তিরা যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে তাঁদেরই টিকা দেওয়া হচ্ছে। তারও আগে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে গিয়েছিল টিকাকরণ অভিযান। প্রথম পর্বের টিকাকরণে দেশের ৩ কোটি ফ্রন্টলাইন ওার্কারকে টিকা দেওয়া শুরু হয়। সেই তালিকায় চিকিৎক, নার্স, অন্য স্বাস্থ্যকর্মী ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা ছিলেন। তাঁদের এবার দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণ চলছে।

একদিকে চলছে টিকাকরণ, অন্যদিকে ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দেশে ১৮ হাজার ৭১১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরই পাশাপাশি একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মোট ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী রবিবার সকাল পর্যন্ত গোটা দেশে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ১২ লক্ষ ১০ হাজার ৭৯৯। এই মুহূর্তে দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেস ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৫২৩। ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৮ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫২০ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত দেশে ২ কোটি ৯ লক্ষ ২২ হাজার ৩৪৪ জন করোনার টিকা নিয়েছেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।