প্রসেনজিৎ চৌধুরী: বাঙালি বিদ্রোহী। বাঙালি নরম মানসিকতার। কিন্তু দুর্জয় ঘাঁটির অধিকারী। যে বঙ্গভূমি বনলতা সেনকে খোঁজে দারুচিনি দ্বীপের দেশে, সেই ভূমি বাঁশবন, লাউমাচা, ধানজমি, ইটভাটা, নদীর তীরে রক্তাক্ত মুক্তি সংগ্রামে নেমে পড়ে। দ্রোহ-ক্রান্তিকালের সেই লাশে ঢাকা রাজপথ পেরিয়ে জন্ম নেয় বাংলাদেশ।

সেই মহা বিজয়ের স্পর্ধিত বার্তা দিয়ে বিশ্বকে স্তম্ভিত ও পাকিস্তানি সেনা, সরকারকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার দিন ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান জানিয়ে দিয়েছিল লড়াইয়ের কথা।

পাঁচ দশক আগে ঢাকার রমনা রেসকোর্স ( এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) থেকে জলদগম্ভীর স্বরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোকদের হত্যা করা হয়, তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল- প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল।” কেঁপে গিয়েছিল পাকিস্তান সরকার।

শুরু হল পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের সরাসরি সংঘর্ষ-মুক্তিযুদ্ধ। তারই ফল ১৯৭১ সালেই তীব্র রক্তাক্ত লড়াই, ৩০ লক্ষের বেশি মানুষের মৃত্যুর পথ বেয়ে বাংলাদেশের জন্ম। এই সংঘর্ষে ভারত সরকার প্রত্যক্ষ সাহায্য করে বাংলাদেশি মুক্তি বাহিনিকে। ঢাকায় ভারতীয়-মুক্তিবাহিনি যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি সেনা।

বাংলাদেশের জন্মের এই ইতিহাসের অন্যতম চরিত্র শেখ মুজিবুর রহনান। চলতি বছর তাঁর জন্ম শতবর্ষ বা মুজিব বর্ষ পালন করছে বাংলাদেশ সরকার। সেই সঙ্গে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের অর্ধশতাব্দী। পাঁচ দশক পুরনো এই ভাষণ বিশ্বের গণজাগরণের সালতামামিতে সর্বাধিক উদ্দীপনাময় বক্তৃতার একটি।

সেদিন বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পাক সেনাকে বলেছিলেন, ‘…সাত কোটি মানুষকে আর দাবায়ে রাখতে পারবা না। বাঙালি মরতে শিখেছে, তাদের কেউ দাবাতে পারবে না। রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব।

১৮ মিনিটের ভাষণ। তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান (এখন ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) থেকে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সেই ভাষণ সম্প্রচার করে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে।’

বাংলাদেশের ইতিহাসবিদদের দাবি, বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণই ছিল স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। এরপরেই ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়।

২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো-এর তরফে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণকে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ (প্রামাণ্য ঐতিহ্য) হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

শেখ মুজিবুর রহমানকে এই বাংলাদেশের মাটিতেই সামরিক হামলায় সপরিবারে খুন হতে হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ঘটনা। তখন তিনি তাঁর স্বপ্নের দেশের সর্বময় শাসক। মুজিব শতবর্ষে এটিও সমান আলেচিত।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।