স্কুটি নবান্ন এবং সেখান থেকে বাড়ি ফেরা
২৫ ফেব্রুয়ারি জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করে ব্যাটারি চালিত স্কুটিতে চড়ে নবান্নে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে চালকের আসনে ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সন্ধেয় ফেরার সময় সেই স্কুটি নিজেই চালিয়ে ফেরার চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে সাহায্য করতে দেখা যায় একাধিক পুলিশ আধিকারিককে। রাজপথে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীকে এইভাবে দেখা যায়। পাশাপাশি কেন্দ্র পেট্রোপণ্যের দাম না কমালে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।
মোদীর কটাক্ষ
এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কুটিতে শওয়ার হওয়া নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে বলেন, আপনি স্কুটিতে শওয়ার হলেন। আপনি ভাগ্গিস পড়ে যাননি। নাহলে স্কুটি যে রাজ্যে হয়েছে সেই রাজ্যকে নিজের শত্রু বানিয়ে নিতেন। সে দক্ষিণ ভারতই হোক, গুজরাত কিংবা উত্তর ভারত। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, স্কুটি ভবানীপুরের বদলে নন্দীগ্রামের দিকে যাচ্ছে। স্কুটি নন্দীগ্রামে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসের একদিন আগে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মাটিকে প্রণাম করতে এসেছেন।
বাংলা নয়, পুরো দেশের মেয়ে
প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন সভায় আগত মানুষজনকে বলেন, তিনি ভ্ৰষ্টাচার, তোলাবাজি, কর্মহীনতা, তুষ্টিকরণ, অন্যায় বলবেন। আর সবাইকে আর নয় অন্যায় বলতে হবে। জনগণ তাই করে। মোদী বলেন, শুনলেন দিদি, এটা বাংলা, বাঙালির আওয়াজ। এইসব মানুষেরা আপনাকে একটাই প্রশ্ন করছে দশ বছর পরে, তাঁরা আপনাকে দিদির ভূমিকায় নির্বাচিত করেছিল। কিন্তু আপনি নিজেকে একজন ভাইপোর পিসির রূপে কেন নিজেকে সীমাবদ্ধ করলেন? বাংলার লক্ষ লক্ষ ভাইপো ভাইঝির জন্য না ভেবে একজনের লোভের কথা ভাবলেন। এত অন্যায় করার পর নতুন স্লোগান দিচ্ছেন। আপনি শুধু বাংলার নয় পুরো দেশের মেয়ে। মন্তব্য করেন মোদী।
বন্ধুদের নিয়ে জবাব
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, বিরোধীদের অভিযোগ তিনি বন্ধুদের জন্য কাজ করেন। চারপাশের মানুষ যাঁদের সঙ্গে সবাই বড় হন তারাই বন্ধু। তিনি নিজেও গরিব পরিবেশে বড় হয়েছেন। তিনি তাঁদের অনুভূতি বোঝেন। তাই তাঁরা বন্ধু। তিনি এদের জন্য করেন, আরও করবেন। ৯০ লক্ষ গ্যাস কানেকসন, ৭ লক্ষ বিদ্যুৎ, দলিত, পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য যোজনা, চা বাগানে কাজ করে যাঁরা তাদের সঙ্গে অন্য রকম সম্পর্ক। চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের সোশ্যাল সিকিউরিটি প্রকল্প হয়েছে। ১০০০ কোটি টাকার বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ। কারণ এঁরাই তাঁর বন্ধু। করোনায় সবার পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। কিন্তু গরিবদের বেশি কষ্ট হয়েছে। তিনি ফ্রিতে রেশন, গ্যাস, টাকা দিয়েছেন। ফ্রিতে ভ্যাকসিনের অঙ্গীকার করেছেন। ১৩০ কোটি ভারতবাসী তাঁর বন্ধু। তিন কোটি কোটি বাংলার বন্ধুদের জন্য আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে সুবিধা দিতে চান। কেননা তাঁরাই বন্ধু।