শিলিগুড়ি: একুশের ভোটে টিকিট না পেয়ে দলের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করে দিলেন শিলিগুড়ির দাপুটে তৃণমূল নেতা নান্টু পাল৷ শিলিগুড়ি থেকে নির্দল হিসেবে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন তিনি৷

গত শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে৷ সেখানে শিলিগুড়ি কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে নাম রয়েছে ওমপ্রকাশ মিশ্রের৷ এরপরই দলের বিরুদ্ধে এক প্রকার বিদ্রোহ ঘোষণা করেন শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতা নান্টু পাল৷

তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান,‘মানুষ চাইছে আমি প্রার্থী হই, তাই নির্দল হিসেবেই শিলিগুড়ি থেকে ভোটে দাঁড়াচ্ছি ৷’ তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে শিলিগুড়ি পুরসভার কাউন্সিলর নান্টু পাল। এরমধ্যে ২০১০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত সময়কালে ডেপুটি মেয়র ও চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।

তৃণমূল নেত্রী কলকাতায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ অনুষ্ঠানের প্রথমেই জানান, বন্ধু দলকে পাহাড়ের তিন আসন ছেড়ে দিয়েছি। এতেই উল্লসিত হয় গুরুং শিবির। যদিও গোজমুমো গুরুং গোষ্ঠী তাদের প্রার্থী এখনও জানায়নি।

কিন্তু পরিস্থিতি জটিল হয়েছে শিলিগুড়ি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ওমপ্রকাশ মিশ্রকে প্রার্থী করায়। তিনি ‘বহিরাগত’ বলে তৃণমূলেরই একাংশ ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ। কলকাতার বাসিন্দা ওমপ্রকাশ বাবু। ফলে শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতৃত্বের বড় অংশ প্রার্থী নিয়ে বেজায় অখুশি।

তৃণমূলের শাসনে শিলিগুড়ি যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কাঁটা। গত ২০১৬ সাল থেকে আর উত্তরবঙ্গের রাজধানীতে তৃণমূলের শক্তি নেই সেই অর্থে। সর্বশেষ গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আসনগুলি হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। যার ফলে গতবারের লোকসভা আসন ৩৪ থেকে নেমে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছিল ২২। অনদিকে বিজেপির উত্থান হয়।

তাই একুশে বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের জমি পুনরুদ্ধারে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রবিবার যখন ব্রিগেডে সভা করলেন নরেন্দ্র মোদী, তখন শিলিগুড়িতে পদযাত্রার মধ্য দিয়ে পুরোদমে নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পেট্রোপণ্য ও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মহিলাদের নিয়ে দার্জিলিং মোড় থেকে ভেনাস মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার হাঁটলেন তৃণমূলনেত্রী ৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।