আমদাবাদ: সিরিজের শেষ টেস্ট ড্র করলেও প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছে যেত ভারত৷ কিন্তু শনিবার মোতেরায় ইংল্যান্ডকে ইনিংস ও ২৫ রানে হারিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠে ভারত৷ ১৮ জুন থেকে ক্রিকেট মক্কা লর্ডসে শুরু প্রথম আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নিশপ ফাইনাল৷ ভারতের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড৷

টেস্ট চ্যাম্পিয়শিপের ফাইনালে ছাড়পত্র পাওয়ার পর কোহলি বলেন, ‘এখন আমরা ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নিশপ ফাইনালে পৌঁছলাম৷ এটা আমাদের ফোকাস নষ্ট করেছিল৷ নিউজিল্যান্ড সফরে আমরা ভালো খেলতে পারিনি৷ কিন্তু তার পর থেকে আমরা একটি করে ম্যাচ ধরে এগিয়েছি৷’

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম ম্যাচ হারের পর টানা তিন টেস্ট জিতে আগামী জুনে ফাইনালে কিউয়িদের মুখোমুখি কোহলি অ্যান্ড কোং। অন্তিম টেস্টের তৃতীয়দিন রুটবিগ্রেডের কাছে ফের দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিল অক্ষর প্যাটেল-রবিচন্দ্রন অশ্বিন জুটি। ভারতের এই স্পিনিং জুটি যেন সিরিজে ভুত হয়ে তাড়া করে ফিরল ব্রিটিশদের। পন্তের ঝকঝকে শতরান (১০১) এবং ওয়াশিংটন সুন্দরের অপরাজিত ৯৫ রানের ইনিংসে ভর করে প্রথম ইনিংসে ১৬০ রানের লিড নেয় ভারত৷

শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে শুরু করা ইংল্যান্ড ৯১ রানে ৬ উইকেট খুঁইয়ে চা-বিরতিতেই ইনিংস হার কার্যত নিশ্চিত করে ফেলে। অক্ষর প্যাটেল ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সাঁড়াশি স্পিন আক্রমণের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেন জো রুটরা৷ চা-বিরতির আগে ৩০ রান করে ইংরেজ অধিনায়ক ঢাল হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অশ্বিনের স্পিনে লেগ-বিফোর হয়ে ফেরেন তিনি। ড্যান লরেন্সের ব্যাটে ইনিংস হার বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল ইংরেজরা। কিন্তু টেলেন্ডারদের কারও থেকে যথোপযুক্ত সাহায্য পাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত অর্ধ-শতরান পূর্ণ করে লরেন্স৷ কিন্তু ব্যক্তিগত ৫০ রানে লরেন্স ফিরতেই ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের যবনিকা নেমে আসে। ১৩৫ রানে গুটিয়ে যায় ভারতীয় ইনিংস৷

দু’ বছর ধরে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের ফল পেল বিরাটাবাহিনী৷ ১৭টি টেস্টের মধ্যে ১২টিতে জয় চারটিতে হার এবং একটি ড্র করে ৪৯০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানে শেষ করে ভারত৷ আর দ্বিতীয় স্থানে থেকে ফাইনালে পৌঁছয় নিউজিল্যান্ড৷ কোভিডের কারণ দেখিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে অস্ট্রেলিয়া সরে দাঁড়ানোর আগেই ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল কিউয়িবাহিনী৷ আর এদিন ইংল্যান্ড উড়িয়ে ফাইনালে ছাড়পত্র জোগাড় করে নিলে টিম ইন্ডিয়া৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।