নন্দীগ্রামের পাশাপাশি আরও এক দ্বৈরথ ২১-এর নির্বাচনে, এবার সম্মুখ সমরে দুই প্রাক্তন আইপিএস

এবারের নির্বাচনে নন্দীগ্রাম ছাড়াও যেসব কেন্দ্র স্টার কেন্দ্রের মর্যাদা পেতে চলেছে, তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের অখ্যাত ডেবরাও (debra)। এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল (trinamool congress) আগেই প্রাক্তন আইপিএস (ips) হুমায়ুন কবীরের (humayun kabir) নাম ঘোষণা করেছিল। বিজেপি এই কেন্দ্র থেকে তাঁদের তালিকায় স্থান দিয়েছে অপর প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষকে (bharati ghosh)। ফলে লড়াই সেখানে জোরদার হতে চলেছে।

বিজেপির প্রথম তালিকায় কোন কেন্দ্রে কোন হেভিওয়েট

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের বলেই পরিচিত হুমায়ুন কবীর

গত ১০ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের বলেই পরিচিত ছিলেন হুমায়ুন কবীর। নিজের চাকরি জীবন শেষ হওয়ার চারমাস আগেই তিনি অবসর নেন এবং কালনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় তৃণমূলে যোগ দেন। বেস কিছুদিন আগে তাঁর স্ত্রীও তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। হুমায়ুন কবীরের শেষ বড় কাজ ছিল গুলি মারো স্লোগান দেওয়ার জেরে তিন বিজেপি-নেতা কর্মীকে গ্রেফতার। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী চন্দননগরে রোজ শো করেন। সেখানেই উঠেছিল গুলি মারো স্লোগান।

মমতাকে জঙ্গলমহলের মা বলেছিলেন ভারতী

অন্যদিকে ভারতী ঘোষও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হয়ে উঠেছিলেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব সামলানোর পরে নতুন ঝাড়গ্রাম জেলা তৈরি হলে, তাঁকে সেখানকার পুলিশ সুপার করা হয়েছিল। প্রকাশ্যসভায় তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জঙ্গলমহলের মা বলেও সম্বোধন করেছিলেন। কিন্তু চাকরি জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে শুরু করে।

উভয়ের কাছে ডেবরা পরিচিত

ভারতী ঘোষই হোন কিংবা হুমায়ুন কবীর দুই প্রাক্তন আইপিএস-এর কাছেই ডেবরা আগে থেকেই পরিচিত। হুমায়ুন কবীরের কথা ধরলে, তিনি ডেবরার ভূমিপুত্র। কিন্তু পুলিশের উঁচুপদে চাকরি করায় দীর্ঘদিন ডেবরায় তাঁর থাকা হয়নি। অন্যদিকে দীর্ঘদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার থাকার সুবাদে ভারতী ঘোষ ডেবরাকে চেনেন ভাল করেই। ডেবরায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে ভাল আকারে। পাশাপাশি বিদায়ী বিধায়ক সেলিমা খাতুনকে তৃণমূল প্রার্থী করেনি। ফলে তৃণমূলের একাংশের অসন্তোষ ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারে।

লোকসভা নির্বাচনের ফলে এগিয়ে বিজেপি

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ঘাটালের প্রার্থী ছিলেন ভারতী ঘোষ। সেই সময় প্রচারের কারণে অনেক কিছু তাঁর নখদর্পনে। পাশাপাশি কেন্দ্র থেকে দেব যে প্রায় একলক্ষ ভোটে জিতেছিলেন, তার বেশিরভাগটাই এসেছিল কেশপুর থেকে। আর ডেবরা থেকে বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ এগিয়ে ছিলেন চার হাজারেরও বেশি ভোটে। সেই কারণে এই লড়াই বড় কঠিন হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সামনে।

More BJP News