অযোধ্যা: রাম মন্দিরের জন্য বন্ধ হল বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা তোলা। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি চম্পত রাই একথা বলেছেন। তবে এর পাশাপাশি অন্য উপায়ের কথাও বলেছেন তিনি। জানিয়েছেন যাঁরা রাম মন্দিরের জন্য অনুদান দিতে চান তাঁরা সরাসরি মন্দিরের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে অনুদান দিতে পারেন।
চম্পত রাই আরও বলেছেন, আগামী ৩ বছরের মধ্যে মন্দির নির্মাণ হয়ে যাবে। তবে মন্দিরের সামনের জমিতে কী হবে তা এখনও স্থির হয়নি বলে জানিয়েছেন চম্পত রাই। সুপ্রিম কোর্ট রাম মন্দিরের জন্য ৭০ একর জমির নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর মন্দির কর্তৃপক্ষ আরও ৭ হাজার ২৮৫ বর্গ ফুট জমি কিনেছে। জানা গিয়েছে মন্দিরের ক্ষেত্র ৭০ থেকে ১৭০ একর পর্যন্ত বাড়তে চায় ট্রাস্ট। এর মধ্যে ৫ একর জায়গা জুড়ে থাকবে মন্দির। আর বাকি ১০০ একর জায়গায় জাদুঘর, লাইব্রেরি, যজ্ঞশালা, পিকচার গ্যালারি ইত্যাদি থাকবে।
প্রসঙ্গত, অযোধ্যায় ভগবান রামের জন্মভূমিতে নির্মিত মন্দিরের জন্য আসছে দুহাত ভরে অনুদান। গত ৪৪ দিন ধরে চলা মন্দির নিধি সমর্পন অভিযানে মন্দির তহবিলে চাঁদা হিসেবে জমা পড়েছে ২১০০ কোটি টাকা। এই প্রচারে যারা সহযোগিতা করেছেন তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ। তিনি বলেছেন, এতে একদিকে যেমন নানান প্রদেশ, জেলা, তহসিল ও গ্রামের ঘর ঘর থেকে অনুদান পাওয়া গিয়েছে, তেমনই ভগবান রামের প্রতি শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও উত্সর্গও ফুটে উঠেছে।
এই অভিযানের রাষ্ট্রীয় সংযোজক অ্যাডভোকেট অলোক কুমার জানিয়েছেন, হিন্দু সমাজের এই উদারতা, সম্প্রীতি এবং উৎসর্গ-এর জন্য বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। তিনি বলেছেন, লক্ষ লক্ষ গ্রাম ও শহর থেকে কোটি কোটি হিন্দু পরিবার এতে দান করেছেন। তাঁর বক্তব্য এই অনুদানে একদিকে যেমন রয়েছে চাকুরিজীবীরা, ব্যবসায়ীরা। তেমনই অনুদান দিয়েছে ফুটপাতে থাকা লোকেরাও। এরা প্রত্যেকেই ভগবান রামের এই কর্মযজ্ঞে নিজেদের যুক্ত করেছেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.