অধীরের দাবি
এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী দাবি করেছেন, দিন তিনেকে আগে বেচারাম মান্না তাঁকে ফোন করেছিলেন কংগ্রেসের টিকিটের জন্য। অধীর চৌধুরী দাবি করেছেন বেচারামা মান্না বলেছিলেন, কংগ্রেসে যোগ দেবেন, তবে তাঁকে সিঙ্গুরের টিকিট দিতে হবে। পাল্টা অধীর বলেছিলেন, সিঙ্গুরটা বামফ্রন্টের হাতে, তাই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। সেই সময় বেচারাম মান্না নাকি বলেছিলেন, না হলে হুগলির যে কোনও আসনেই তিনি কংগ্রেসের প্রার্থী হতে চান। অধীর চৌধুরী এদিন টিকিট না পাওয়া পরে তৃণমূলের নেতাদের দল ছাড়ার ঘটনা নিয়েও কটাক্ষ করেন।
বেচারামের প্রতিক্রিয়া
অধীর চৌধুরীর দাবি তিনি কোনও ভাবেই মানতে চাননি। টিভি এইটটিন বাংলার কাছে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি পাল্টা তিনি প্রমাণ দেওয়ার দাবি করেছেন। অধীর চৌধুরীকে পাল্টা তিনি চরিত্রহীন, লম্পট বলেও আক্রমণ করেছেন। সঙ্গে তিনি বলেছেন, শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস এখন সিপিএম এবং মৌলবাদীদের সঙ্গে নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তৃণমূলের টিকিট বেচারাম ও তাঁর স্ত্রীকে
শুক্রবার তৃণমূলের টিকিট প্রাপ্তদের তালিকায় সিঙ্গুর থেকে প্রার্থী করা হয়েছে বেচারাম মান্নাকে। তাঁর স্ত্রী করবী মান্নাকে প্রার্থী করা হয়েছে পাশেরই এবং বেচারামের বর্তমান কেন্দ্র হরিপাল থেকে। তৃণমূলে পরিবারের দুজন পাশাপাশি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হওয়াদের তালিকায় মান্না পরিবার ছাড়াও রয়েছেন মহেশতলা কেন্দ্র থেকে দুলাল দাস এবং পাশের কেন্দ্র বেহালা পূর্বে মেয়ে রত্না চট্টোরাধ্যায়। যদিও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের অন্য পরিচয় রয়েছে। তিনি কলকাতার প্রাক্তন মেয়র এবং এই কেন্দ্রেরই বিদায়ী বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রাক্তন স্ত্রী।
মমতা ডাকলেও প্রচারে যাবেন না, বলেছেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টচার্য
অন্যদিকে সিঙ্গুর কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাকলেও তিনি প্রচারে যাবেন না। তিনি মনে করেন, বিজেপিকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুবিধা করে দিলেন। বয়স জনিত কারণে বাদ যাওয়াটা অজুহাত মাত্র, দাবি করেছেন তিনি। রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেছেন, তিনি তোলাবাজি করতে অসমর্থ। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, টাকা তুলে দিতে পারবেন না বলেই তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে।