কী বলছেন আইসিআইএমওডি-র আধিকারিকেরা ?
এদিনই এই হিমবাহ ধসের মূল কারণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে রক স্লাইডের কথা বলেন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভলপমেন্ট বা আইসিআইএমওডি-র আধিকারিকেরা। এদিকে ভয়াবহ হড়পা বানের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর ভারতের দু'টি উল্লেখযোগ্য জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। পাশাপাশি সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ১৩টি গ্রাম। হড়পা বানের জেরে চূড়ান্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঋষিগঙ্গায় বাঁধ তৈরির কাজ, জলের তোরে ভেসে গেছেন প্রায় ১৫০ কর্মী।
বিশালাকার রকস্লাইডের কারণেই বিপর্যয়
আইসিআইএমওডি-র আধিকারিকেরা এও জানাচ্ছেন প্রায় বরফ এবং তুষার মিশ্রিত ২২ মিলিয়ন ঘনমিটার শিলা ধসের ফলেই এই বিধ্বংসী হড়পা বানের সৃষ্টি হয় পাহাড় চূড়ায়। অন্যদিকে রন্তি শিখরেই প্রথম এই বিশালাকার রকস্লাইড দেখা যায়। পড়ে তা গড়াতে গড়াতে ধৌলিগঙ্গা নদীতে এসে পড়ে। এমনকী এই ঘর্ষণের ফলেও বরফের চাঁই গুলি দ্রুততার সঙ্গে গলতে থাকে এমনকী ফলস্বরূপ নদীর জলের স্তরও বেলামাহীন ভাবে বেড়ে যায়।
সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত চামোলি জেলা
অন্যদিকে এই হিমাবাহ বিপর্যয়ের কারণে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলা। যদিও প্রাকৃতি বিপর্যয়ে এই রাজ্য বরাবরই বিপদসংকূল বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। এদিকে, উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার ১৩ টি গ্রামে যোগাযোগ ফিরিয়ে আনার জন্য ঋষিগঙ্গার ওপরে একটি বিকল্প বেইলি ব্রিজ নির্মিত হয়েছিল যা ফেব্রুয়ারি হড়পা বানে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
দ্রুতগতিতে চলছ সেতু নির্মাণের কাজ
সূত্রের খবর, পুনরায় সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০মার্চের মধ্যে। সীমান্ত সড়ক সংস্থার (বিআরও) নিয়ন্ত্রণাধীনেই চলছে সমস্ত কাজ। যদিও বিআরও আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা ভেবে সময়ের আগেই কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন তারা। ওভারটাইম কাজ করেছেন কর্মীরা। বিআরও'র শিভালিক প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী এএস রাঠোর জানিয়েছেন এমনটাই।