কলকাতা : সমাজের মেয়েরা এগোলে তবেই সমাজ এগোবে। প্রায় ২০ বছর ধরে এই কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে এই সংস্থা। দেশের গ্রামীণ ও দরিদ্র মায়েদের ও মেয়েদের পাশে দাঁড়িয়েছে তাঁরা এবং তাঁদের সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলেছে এই সংস্থা। কারা করছে এই কাজ? করছে বন্ধন ব্যাঙ্ক।

Targeting the Hardcore Poor (THP) এমনই একটি কার্যক্রম যেখানে দারিদ্রসীমার নিচে থাকা দুস্থ মহিলাদের দৈনন্দিন রোজগারের একটা পথ তৈরী করে দেওয়া হয় ও পরিবারকে নিয়ে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। মূলধন হিসেবে তাদের কোনো দোকান শুরু করার জন্যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বা হাঁস-মুরগি-গরু-ছাগল জাতীয় গৃহপালিত পশুপাখি কিনে দেওয়া হয়। তাদের প্রাথমিক আর্থিক শিক্ষাটুকুও দেওয়া হয় যাতে ব্যবসা করে তারা উন্নত জীবনযাপন করতে পারেন। এখনও পর্যন্ত দেশের ১১৮১২১ জন মহিলা এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন ও সমাজের মূল স্রোতে ফিরেছেন। এদের মধ্যে ৫৪ হাজারই হলো এই রাজ্যের মানুষ। বন্ধনের ১৪৮২ কর্মী এখন এই কাজের সঙ্গে যুক্ত।

মেয়েদের ও শিশুদের স্বাস্থ্য ও সচেতনতা সংক্রান্ত কাজ করার জন্যে শুরু হয়েছিল Bandhan Health Programme (BHP). গর্ভবতী মহিলা, সদ্য মা হওয়া মহিলা ও শিশুকন্যাদের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয় এই প্রোগ্রামে। তাদের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও বিধিসম্মত চিকিৎসার ব্যাপারে যত্ন নেওয়া হয়। গ্রামেরই উৎসাহী মহিলাদের বেছে নিয়ে ও তাদের প্রয়োজনীয় ট্রেনিং দিয়ে স্বাস্থ্য সহায়িকা হিসেবে কাজে নিযুক্ত করা হয়। তারা নিয়মিত গ্রামের মেয়েদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত শিক্ষা দেন, গর্ভবতী মহিলাদের শারীরিক ও পুষ্টিগত দিকগুলি খেয়াল রাখেন ও প্রয়োজনে বিনামূল্যে ওষুধও বিতরণ করেন। এছাড়াও, যে সব গ্রামে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে, সেখানে বন্ধন বিশুদ্ধ পানীয় জলের বন্দোবস্তও করেছে। ২০ লাখেরও বেশি মানুষ এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে উপকৃত, যার মধ্যে প্রায় ১২ লক্ষ এই রাজ্যেরই। বন্ধনের ১২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রমে এটা সম্ভব হয়েছে।

এছাড়াও, মেয়েদের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাও খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। Bandhan Education Programme (BEP)-এর অন্তর্গত ছোট ছোট অবৈতনিক স্কুল তৈরী করে গ্রামের শিশুদের সেখানে পড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। তাদের বই-খাতা-পেন্সিল সবকিছুই বিনামূল্যে যোগান দেওয়া হয়। শিক্ষা ছাড়া যে কোনোভাবেই সমাজের মূলস্রোতে টিকে থাকা সম্ভব নয় সেটা বুঝেই বন্ধন গ্রামের দরিদ্র পরিবারগুলি থেকে শিশুদের নিয়মিত স্কুল যাবার বন্দোবস্ত করেছে। আজ বন্ধনের ৫৪০০ টি স্কুলে ৪৪০ জন শিক্ষিকা নিযুক্ত। গ্রামীণ ভারতের ১,৬৬,৬৪৫ জন শিশু বন্ধনের এই অবৈতনিক স্কুল থেকে উপকৃত হয়েছে।

শুধু শিশুই নয়, মহিলাদের আর্থিক সাক্ষরতার ক্ষেত্রেও এগিয়ে রয়েছে বন্ধন। সংসার চালাতে ও ভবিষ্যতের জন্যে সঞ্চয় করতে যে ন্যূনতম আর্থিক শিক্ষাটুকুর প্রয়োজন হয়, তার ব্যবস্থা করতে বন্ধন শুরু করেছে Bandhan Financial Literacy Programme (BFLP). এখানে মহিলাদের সেখান হয় ক্ষুদ্রঋণ নিলে তা কিকরে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হয়, কিভাবে ব্যবসা চালাতে হয় ও খরচের হিসেব রাখতে হয়। সঞ্চয় ও বিনিয়োগের গুরুত্ব ও মহিলাদের হাতে ধরে বুঝিয়ে দেন এই কার্যক্রমের কর্মীরা। ইতিমধ্যেই ৬ লক্ষেরও বেশি মহিলা এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন ও আর্থিক শিক্ষালাভ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায় উন্নতি করেছেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।