প্যারিস: পৃথিবীতে নানা ইচ্ছের বা পেশার মানুষ রয়েছেন যারা নানা অদ্ভুত কাজ করেন। বলা যায় সেটাই তাদের নেশা। এর থেকেই তারা স্থান পান ইতিহাসে। তাই সেগুলিই কালের নিয়মে সেরার সেরা নির্বাচিত হয়েছে বিশ্বের মধ্যে। তেমনই অদ্ভুত এই ফার্দিনান্দ সেশেল নামক অতি সাধারণ মানুষটি। উনিশ শতকের শেষ ভাগে রাস্তা থেকে নানা আকারের পাথর কুড়িয়ে এনে তা দিয়ে প্রাসাদ বানান তিনি। শুনতে অবাক লাগলেও এই দৃষ্টান্ত তিনিই প্রথম রেখেছিলেন। পেশায় তিনি ছিলেন ডাক হরকরা। ঘুরে ঘুরে মানুষকে চিঠি দিতে দিতেই তার মাথায় এই বুদ্ধিটি আসে।
হটেরাইভস থেকে টারসেন পর্যন্ত ১৮ মাইল পথ হেঁটে পাড়ি দিয়ে তিনি প্রতিদিন যাতায়াত করতেন কাজের সূত্রে। যাওয়া-আসার পথের মধ্যেই তিনি এমন প্রচুর পাথর পড়ে থাকতে দেখেন সেই রাস্তায়। তখন তার শখ হয় ওগুলো জমানোর। সেই থেকেই এর শুরু।
একসময় একটি ঠেলা গাড়ি জোগাড় করে রাস্তায় কাজের ফাঁকে পাথর জোগাড় করতেন। সেই পাথরের বিশাল স্তুপ তৈরি হলে প্যালেস বানানোর চিন্তা আসে তার মাথায়। ৩৩ বছর ধরে তিনি ওটা বানিয়েছেন। তিনি আপন মনে তৈরি করেছেন প্রাসাদ। এর জন্যে কোনো শিক্ষা তার ছিলো না। মুঘল, ইউরোপিয়ান, আরব শিল্পরীতি মিলিয়ে মিশিয়ে দেখতে পাওয়া যায় এই প্যালেসে। আবার অনেক পশু-পাখির মূর্তি রয়েছে ভেতরে যা সচরাচর দেখা যায় না।
তিনি চেয়েছিলেন তিনি মারা গেলেও যেন সেই প্রাসাদেই তার সমাধি দেওয়া হয়। তৎকালীন ফরাসি সরকার এই প্রস্তাবে না বলেছিলেন। শেষে ফার্দিনান্দ সেশেল নিজেই ‘দ্য টম্ব অফ সাইলেন্স অ্যান্ড এন্ডলেস রেস্ট’ নামক সমাধি নির্মাণ করেন। মৃত্যুর ৮ বছর আগে তিনি সমাধি বানানোর কাজ করেন। এরপর ঠিক দুই বছর বাদেই সেখানেই মৃত্যুশয্যাতে শায়িত হন তিনি। এখন এই প্রাসাদ ও সমাধিক্ষেত্র পর্যটন স্থান হিসেবে উন্মুক্ত হয়েছে। প্রাচীর ফরাসিরা সেখানে যান প্রতি বছর। শিল্পীর এমন অদ্ভুত সৃষ্টিকে উপেক্ষা করে এমন সাধ্য কারুর নেই।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.