শুভেন্দুর জয় চাইলেন শিশির অধিকারী
শিশির অধিকারী এখনও তৃণমূলে রয়েছেন। তিনি জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান আবার তৃণমূল সাংসদও। যদিও শিশির অধিকারীর বর্তমান গতিবিধি বলে দিচ্ছে তিনি বিজেপির পক্ষেই। ছেলে শুভেন্দু যখন বিজেপিতে, তখন তৃণমূলে শিশিরের অস্তিত্ব থাকা না থাকা সমান। সেইমতোই শুভেন্দু অধিকারীর নাম নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হতেই শিশির অধিকারী তাঁর জয় চাইলেন।
মমতা জেদাজেদি না করলেই পারতেন
শিশির অধিকারী বলেন, শুভেন্দু বিপুল ভোটে জিতবে নন্দীগ্রামে। তাঁর নেত্রী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্যো পাধ্যায় যে হারবেন, তা জানিয়ে দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান। একইসঙ্গে তাঁর বার্তা মমতা জেদাজেদি না করলেই পারতেন। তাহলে অন্তত হারের মুখ দেখতে হত না।
ভবিষ্যৎকে হারাতে পারবেন না মমতা
শিশির অধিকারীর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ব্যাখ্যা করেছিলেন শুভেন্দু ভবিষ্যতের মুখ। তিনি তাঁর দলের ভবিষ্যৎ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীকে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ভবিষ্যৎকে হারাতে পারবেন না বলেই মনে করেন শুভেন্দুর পিতৃদেব। শুভেন্দু প্রার্থী হতেই তাই তাঁর দ্বৈরথ-জয়ের বার্তা দিয়ে রাখলেন শিশির অধিকারী।
নন্দীগ্রামে মমতা বনাম শুভেন্দুর দ্বৈরথ অবশম্ভাবী
শুভেন্দু-গড় বলে পরিচিত নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রামে মমতার দলের মুখ ছিলেন তিনি। শুভেন্দুর উপর নন্দীগ্রামের দেখভালের দায়িত্ব ছেড়েছিলেন মমতা। কিন্তু শুভেন্দুর বিজেপি-যাত্রায় বাধ্য হয়েই নন্দীগ্রামে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যে কায়দায় তিনি ২০১৬-য় নন্দীগ্রামে প্রার্থী করেছিলেন শুভেন্দুকে, একই কায়দায় মমতা নিজে প্রার্থী হয়েছেন। এখন শুভেন্দুকে নন্দীগ্রামে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। ফলে উভয়ের দ্বৈরথ অবশম্ভাবী।