সম্প্রতি মুক্তি পেলো বহু প্রতিক্ষীত ছবি হীরালাল। চোলাই ও এগারো খ্যাত করেছেন পরিচালক অরুন রায়। এক ঝাঁক নতুন যারা এতদিন ধরে দাপিয়ে অভিনয় করেছে মঞ্চে। হীরালাল এমন একটি সিনেমা দর্শকই পরিচয় করাবে প্রথম ভারতীয় যিনি বলেছিলেন বায়োস্কোপের কথা অর্থাৎ যার সামনে আমরা দেখি তাই পর্দায় দেখা যাবে কেমন করে।

এই ভারতীয় এবং বাঙালি ব্যক্তিত্বের নাম বেশি ইতিহাসের পাতায় নেই কারণ তার সমস্ত তথ্য এবং চিত্র পুড়ে গেছিল আগুনে। ফাদার অফ ইন্ডিয়ান সিনেমার ইতিহাস তাই খুব বেশি ডকুমেনটেড নেই। এই ছবির গল্পের ক্ষেত্রে প্রচুর রিচার্জ করতে হয়েছিল পরিচালক এবং গোটা টিম কে। ভারতীয় সিনেমায় বায়োস্কপে পরিচয় দিয়েছিলেন সেই ব্যক্তি তার জীবনটাই এতটা অজানা এর মানুষের কাছে। ছবি নিঃসন্দেহে ভারতীয় সিনেমা এবং বাঙালির ঐতিহ্য সঙ্গে জাস্টিজ করবে।

ছবিতে অভিনয় করেছে কিঞ্জল নন্দ, অনুস্কা মুখার্জি, তন্নিষ্ঠা বিশ্বাস, পার্থ সিনহা ,শংকর চক্রবর্তী ,শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এর মতন অভিনেতারা। প্রত্যেকের অভিনয় আলাদা করে প্রশংসার দাবি রাখে। ততকালীন সময়, তখনকার মানুষের চাল-চলন, ভাষা,ভঙ্গি সবটাই পরিচালক নিপুণভাবে তুলে ধরেছেন প্রত্যেকের অভিনয়ের মাধ্যমে। আলাদা করে মন কাড়বে অনুষ্কা এবং কিঞ্জলের সম্পর্ক।

স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক, মান অভিমান এখানে খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন পরিচালক। এই ছবির কালার কারেকশন ক্যামেরার কাজ দর্শককে দেবে ভিসুয়াল ট্রিট। ইতিহাস এবং বায়োপিক কোথাও যেন এক হয়ে যায় এ গল্পে। এ ছবির প্রিমিয়ারে বসল চাঁদের হাট। টলিউডের রথী-মহারথীদের দেখা মিলল প্রিমিয়ারে। পরিচালক থেকে অভিনেতা অভিনেত্রী এ ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

প্রিমায়ারে উপস্থিত ছিলেন আরজে মীর, স্বস্তিকা মুখার্জি, সোহিনী সরকার, রনজয় বিষ্ণু,পরিচালক অর্জুন দত্ত, সুদেষ্ণা দে,অভিজিৎ সরকার,অনুরাধা মুখার্জি, অনুভব কাঞ্জিলাল, রাজা চন্দ,শিব প্রসাদ মুখোপাধ্যায়,নন্দিতা রায়, সায়ন্তনী গুহ ঠাকুরতা, সৌম ঋত, শুভজিৎ মিত্র প্রমুখ। এদিন নন্দন ছিল হাউসফুল। টলিউড ইন্ডাস্ট্রি লোকজনই নয়, চিনা হত দর্শকদের মুখেও ছিল একটা ভালো বাংলা ছবি দেখার হাসি।

চোলাই এবং এগারোর পরে যে প্রত্যাশা তৈরী হয়েছিল পরিচালক অরুণ রায় এর থেকে সেই প্রত্যাশার মর্যাদা রেখেছেন পরিচালক তাঁর নতুন ছবি ‘হীরালাল’ এ। ছবি এই ছবি নিঃসন্দেহে আপনার চোখের জল আনবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।